নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পেয়েছেন
বাংলাদেশ ক্রিকেটের একসময়ের ‘লিটল মাস্টার’ বলে খ্যাত মোহাম্মদ আশরাফুল। ঘুষ
কেলেঙ্কারির মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার এবং দেশের সম্মানে যে কালিমা তিনি লেপন
করেছিলেন তার শাস্তি ভোগ করেছেন। শাস্তি হিসেবে আরও দুই বছর তাকে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে।
তবে এতকিছুর পরও আশরাফুলের প্রতি ভালবাসা কমেনি
ক্রিকেটভক্তদের। সবাই প্রতীক্ষায় আছেন কবে মাঠে ফিরবেন তখনকার দুর্বল বাংলাদেশ
ক্রিকেটের ‘আশার ফুল’। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার সবচেয়ে সহজ উপায়টি ছিল বিসিএল। তবে এই
টুর্নামেন্টে খেলোয়ার বাছাই প্রক্রিয়া, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ইচ্ছা সব মিলিয়ে এতদিন
তেমন সুখবর ছিল না আশরাফুলের জন্য।
নিয়ম অনুযায়ী বিসিএলে নেওয়া হয় জাতীয় লিগের সেরা পারফরমারদের,
যাদের সামনে টেস্ট খেলার সুযোগ আছে। এই দুই বিবেচনার কোনোটিতেই ২০১২-১৩ মৌসুমে
সর্বশেষ জাতীয় লিগে খেলা আশরাফুলের এবারের বিসিএল খেলতে পারার কথা নয়। এবার শোনা
যাচ্ছে জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহেও চান না যে আশরাফুল বিসিএল
খেলুক। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আশরাফুলকে আরও দুই বছর লাগবে বিধায়
তার জাতীয় দলে ফেরার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না হাথুরুসিংহে। সত্যিকার অর্থে বর্তমানে
বাংলাদেশ দলের সেরা একাদশে জায়গা করে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ এটা নতুন যুগের
বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
সেখানে এতদিন পর মাঠের বাইরে থেকে জাতীয় দলে ফেরা কতটা
বাস্তবসম্মত সেই দিকটাই ইঙ্গিত করেছেন কোচ। তাই তাকে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন
টুর্নামেন্টে খেলতে দেওয়ার কোনো যুক্তি দেখেন না হাথুরু। তার চাইতে ভবিষ্যতে
জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারে এমন কোন প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে বিসিএল-এ সুযোগ দেওয়ার
পক্ষপাতী তিন।
আগামী ১৭-১৮ আগস্ট নির্বাচক কমিটির সভায় আশরাফুলের ভাগ্য নির্ধারিত
হবে। সেদিনই জানা যাবে তিনি বিসিএল-এ খেলতে পারবেন কি না।