আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের দিন তার বাবা মারা গেছেন। এক সপ্তাহ হতে চললো। পিতৃবিয়োগের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এরই মাঝে ৮ সেপ্টেম্বর বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে তাকে। ওই দিন অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আরাফাতেরও বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা হবে। নিজের নতুন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আশাবাদী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার
অপেক্ষায় থাকা এই বাঁ-হাতি স্পিনার। আরাফাত সানিরা ঢাকা ছাড়বেন ৫ সেপ্টেম্বর রাতে।
২০১৬ টি ২০ বিশ্বকাপে খেলার সময় দু’জনেরই বোলিং নিষিদ্ধ হয়েছিল একই দিনে। কাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের আরাফাত নিজের নতুন বোলিং অ্যাকশন সম্পর্কে বলেন, ‘আমার যে সমস্যা ছিল তা নিয়ে কাজ করছি। সমস্যা ছিল আমার পায়ের ল্যান্ডিং নিয়ে। ডান পায়ের ল্যান্ডিংটা সোজা হতো। এখন সমান্তরাল করছি। এটা যদি ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে আমার বোলিং অ্যাকশন ঠিক হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি পুরোপুরি বোলিংয়ে মনোযোগ দিচ্ছি। সমস্যা উতরাতে কী করতে হবে সেটাতে মনোযোগ দিচ্ছি।
অনুশীলন করছি, ড্রিল করছি।’ এর আগে বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করে অনেক বোলারই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। তাই আত্মবিশ্বাসী আরাফাত। বিসিবির রিভিউ কমিটি তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করে কোনো সমস্যা পায়নি। আরাফাত বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি তো একা নই। এর আগেও অনেক বোলার এ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। আশা করি, তাদের মতো আমিও দৃঢ়ভাবে ফিরব।’ এই বাঁ-হাতি স্পিনার বলেন, ‘আমার বোলিং অ্যাকশন এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে। স্কিল অনুশীলনে কোচও দেখে তাই বলেছেন। এতদিন ধরে একটা অ্যাকশনে বোলিং করছিলাম, এখন কিছুটা পরিবর্তন করতে হয়েছে। কিছুটা ঘাটতি তো থাকবেই।’
রুয়ান কালপাগের কাছে আরাফাত নিজের বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করতেন। কালপাগে এখন আর বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ নন। আরাফাত বলেন, ‘আমার বোলিং অ্যাকশনের ভিডিও আগে তার কাছে পাঠিয়ে দিতাম। তিনি দেখে কোন জায়গায় ঘাটতি আছে বলে দিতেন। কালপাগে থাকলে ভালো হতো আমার জন্য। তার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও আমাকে সাহায্য করতে পারতেন। তারপরও আমার বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ হয়েছে।’