দুই বছর আগের সেই কালরাতের কথা কোনো দিনও ভুলতে পারবে না ব্রাজিল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেদিন জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ‘সেলেসাও’রা। অলিম্পিক ফাইনালে সেই জার্মানিই ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ। অধরা শিরোপার পাশাপাশি তাই প্রতিশোধের হাতছানিও তাদের সামনে। ব্রাজিলের কোচ রজারিও মিকালে অবশ্য ‘প্রতিশোধ’ শব্দটা উচ্চারণ করতেই রাজি নন।
কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার এক ডিফেন্ডারের আঘাতে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে ফেলায় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি নেইমার। শনিবার রাতে অলিম্পিকের ফাইনালে তাই দুই বছর আগের ম্যাচটির কোনো খেলোয়াড়কেই দেখা যাবে না।
এই তথ্যটাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন মিকালে। ব্রাজিল কোচের অভিমত, ‘সেটা ছিল বিশ্বকাপের দল। আর এটা অলিম্পিকের দল। নেইমার তো সেই ম্যাচে খেলেইনি। কালকের অলিম্পিক ফাইনালের সঙ্গে দুই বছর আগের ম্যাচের কোনো সম্পর্ক নেই। ভিন্ন সময়ে ভিন্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’
এবারের অলিম্পিকে প্রথম দুই ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করলেও এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্রাজিল। পরের তিন ম্যাচে ১২ গোল করেছে তারা, সেমিফাইনালে নেইমারের অনুপ্রেরণায় ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হন্ডুরাসকে।
গত বছর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ফাইনালে নিয়ে গেলেও শিরোপা জিততে পারেননি মিকালে। ঘরের মাঠে সাফল্য পেতে তাই তিনি মরিয়া, ‘এই টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে আমরা অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি। অনেক শক্ত চ্যালেঞ্জ, প্রশ্ন আর সন্দেহের মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানোর দরকার নেই। এখন শুধু ফাইনাল ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’