দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ চট্টগ্রাম টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে ২২ রানে হারলো বাংলাদেশ। চতুর্থ ২৫৩ রানের সঙ্গে মাত্র ১০ রান যোগ করে শেষ দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান করেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য মাত্র ৩৩ রান সামনে রেখে বেন স্টোকসের করা ওভারে এক বল ব্যবধানে ফিরে গেছেন তাইজুল ও শফিউল। দুইজনই এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছেন। অভিষেক ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে ৬৪ রান নিয়ে অপরপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির রহমান।
পঞ্চম দিনে মাত্র ২১ মিনিটেই শেষ দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দু’ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো ইংলিশরা। আগামী ২৮ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩৩ রান। হাতে ছিল দুই উইকেট। ক্রিজে ছিলেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সাব্বির রহমান ও ১০ম টেস্ট খেলতে নামা তাইজুল ইসলাম। সাব্বির ৫৯ ও তাইজুল ১১ রান নিয়ে দিন শুরু করেন।
দিনের প্রথম ওভার করতে বল হাতে নেন ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ঐ ওভার থেকে ৩ রান যোগ করতে পারেন সাব্বির ও তাইজুল। ইংল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার বেন স্টোকসের পরের ওভারে ১টি বাউন্ডারিসহ ৫ রান যোগ করেন তারা। বাউন্ডারিটি মারেন তাইজুল। এরপর ব্রডের ওভার থেকে আরও ২ রান যোগ করে ম্যাচ জয়ের সমীকরণটা ২৩ রানে নামিয়ে আনেন সাব্বির ও তাইজুল।
কিন্তু ইনিংসের ৮২তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলের বিপক্ষে এলবিডব্লু’র আবেদন করেন স্টোকস ও তার সতীর্থরা। এতে আম্পায়ার সাড়া দেননি। কিন্তু রিভিউ নিয়ে তাইজুলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান স্টোকস। তাই ১৬ রানে থেমে যেতে হয় তাইজুলকে।
তাইজুলের বিদায়ে উইকেটে আসেন ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম। একটি বল বিপদ ছাড়া পারও করে দেন শফিউল। কিন্তু পরের বলেই এলবিডব্লু’র ফাঁদে পড়েন তিনি। আম্পায়ার আউট দিলে, রিভিউ নেন শফিউল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি শফিউলের। ফলে হতাশা নিয়েই ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে। স্বাগতিকরা অলআউট হয় ২৬৩ রানে।
তাইজুল ও শফিউলের ফিরে যাওয়া অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছেন সাব্বির। দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না তার। ১০২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৪ রানেই অপরাজিত থাকতে হয় সাব্বিরকে। ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্যাটি ৩টি, মঈন, স্টোকস ও ব্রড ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের স্টোকস।
ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment