আগেই অনুমিতই ছিলো, এবার আসলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বাংলাদেশে বনাম ইংল্যান্ডের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই টেস্টে মোট ১৯ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই জাদু দেখিয়েছেন মিরাজ। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে ১২ উইকেট শিকার করেছেন এই তরুণ স্পিনার। তার বোলিং ফিগার ছিলো ২১.৩ -২-৭৭-৬। এর আগে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ছয় উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। রবিবার ইনিংসের শুরুতে সাবলীলভাবে ব্যাট করতে থাকে দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান বেন ডাকেট ও অ্যালিস্টার কুক। তাদের জুটিতে প্রথম আঘাত আনেন মিরাজ। ফিফটি করা বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর ফেরান ব্যালেন্সকে। শূন্য রানে ফিরিয়েছেন মঈন আলিকেও। আউট করেছেন ফিফটি করা অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককেও। তার ও সাকিবের ঘূর্ণি জাদুতে ১২৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন ব্যালেন্স। এছাড়া বেয়ারস্টোকে তিন রানের মাথায় আউট করেন তিনি। শুভাগত হোমের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন বেয়ারস্টো।
এর আগে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ডাকেটকে আউট করেছিলেন মিরাজ। দলীয় ১০০ রানের সময় ডাকেটকে বোল্ড করেন এই তরুণ স্পিনার। আউট হওয়ার আগে ৬৪ বলে ৫৬ রান করেছিলেন ডাকেট।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে শেষ পেরেকটিও ঠুকেন মিরাজ। স্টিভেন ফিনকে শূন্য রানেই ফেরান তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সর্বোচ্চ (১২ উইকেট) উইকেট পাওয়ার বোলার ছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এনামুল গড়েছিলেন এ কীর্তি। যা ভাঙলো ১১ বছর পর মিরাজের হাত ধরে। দুই ইনিংসে ১২ উইকেট নিতে ২০০ রান দিয়েছিলেন এনামুল। আর মিরাজ দিয়েছেন ১৫৯ রান।
২০০৫ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৮টি উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হক। তার ৯ বছর পর একই দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ১৮টি উইকেট নিয়ে এনামুলের রেকর্ড ভাগ বসান সাকিব। তাদের দুজনের রেকর্ডকে স্পর্শ করলেও মিরাজের বোলিং ফিগারটাই থাকছে শীর্ষে।
ই্ত্তেফাক/
No comments:
Post a Comment