বাটলারের সঙ্গে
কি
হয়েছিল
আমি
জানি
না। রিভিউ
যখন
নিই,
আমি
উত্তেজিত হয়ে
পড়েছিলাম, কারণ
রিভিউটা আমাদের
পক্ষে
আসছে। এরপর
কি
হয়েছে
জানি
না। তবে
আমাদের
সংযত
থাকা
দরকার
ছিল।
রোববার
রাতে আউট হয়ে
যাবার পর টাইগারদের
উদযাপন দেখে ইংলিশ
অধিনায়ক জস
বাটলারের আচরণের
বিষয়ে ম্যাচ শেষে
সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই
জানিয়েছেন টাইগার
অধিপতি মাশরাফি বিন
মাশরাফি মুর্তজা।
এদিকে নাটকীয় হারের পর দলের প্রতিটি সদস্যের মধ্যে জয়ের তাড়না ছিল বলেই রুদ্ধশ্বাস খেলায় জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন টাইগারদের অধিনায়ক।
মাশরাফি বলেন, ম্যাচের ওয়ার্মআপের সময়ও খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা সুস্থির ছিল না। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকে কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয় ম্যাচে সবারই জয়ের তাড়না ছিল। সেই তাগিদই ভালো পারফর্ম করতে প্রেরণা যুগিয়েছে।
ম্যাচ শেষে মাশরাফি বলেন, ‘দ্রুত উইকেট নিতে পারলে ওদের চাপে রাখা যাবে, এমনটা ভেবেছিলাম। এর আগে আমরা ইংল্যান্ডের মাটিতেও এরকম একটা ম্যাচে জিতেছি। ওখানে ২৩৩ না ২৩৪ করেছিলাম (আসলে ২৩৬ রান, ২০১০-এ ব্রিস্টলে)। ওই ম্যাচে রুবেল ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিল। ম্যাচে দ্রুত উইকেট নেয়ায় সুবিধা হয়েছে। আমরা শুরুতেই এগিয়ে যাই।’
জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলারের জুটি ভাঙার জন্য তাসকিন আহমেদের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। ওই স্পেলে তাসকিন পাঁচ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। ওই স্পেলটাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন মাশরাফি।
অধিনায়ক বলেন, ‘ওই সময় আসলে আমি, সাকিব ও মুশফিককে ডেকেছিলাম কি করা যায় জানতে। তখন অপশন ছিল তাসকিন, মোসাদ্দেক কিংবা সাব্বিরকে দিয়ে একটা ওভার করানো। তাসকিনের ওপর আস্থা রেখেছি। কারণ ও আমার দলের মূল বোলার। উইকেট এনে দিতে পারে। ভাগ্যক্রমে তাসকিন ওই স্পেলটা দারুণ করেছে। তিন উইকেট নিয়েছে। খেলাটা আমাদের হাতে চলে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘দল জিতলে ম্যাচসেরা আমাদের যে কেউ হতে পারত। জিতেছি বলে ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর আমরা রাত ৩টা পর্যন্ত রুমে বসে গল্প করেছি। ভোলার চেষ্টা করেছি। ভারতের বিপক্ষেও আমরা একই ভুল করেছিলাম। ওই ম্যাচের চেয়ে এটাই বেশি হতাশার ছিল।’
কাল শেষ উইকেটে জ্যাক বল ও আদিল রশিদ ৪৫ রানের জুটি গড়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এখন সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা।
মাশরাফি বলেন, ‘বেশ ভালো সুযোগ আছে। বিশেষ করে এমন একটা ম্যাচ জয়ের পর সবাই মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
বাংলাদেশের ছয় ম্যাচে চার জয় শেষ ছয় ম্যাচে চার জয়। শিকারি বাংলাদেশ। শিকার ইংল্যান্ড। ব্রিস্টল, চট্টগ্রাম ও অ্যাডিলেডের পর ঢাকায় ধরা দিল চতুর্থ জয়। বলা যায়, শুক্রবারের জয় ধরা দিল রোববার। প্রথম ওয়ানডে জিততে জিততে হেরেছে বাংলাদেশ। সেই হারের যন্ত্রণা প্রশমনের জন্য ভীষণ প্রয়োজন ছিল এই জয়ের। একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মাশরাফি মুর্তজা সেই প্রার্থিত জয় এনে দিলেন বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৪৪ রানের ঝড় তোলার পর বল হাতে চার উইকেট। সিরিজে টিকে থাকল বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ইংলিশ অধিপতি জস বাটলার আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে নিজের আচরণের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আমাদের আশা ছিল, আমরা ২-০ জয় পাবো। তাই আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যেভাবে উদযাপন করেছে তাতে আমি হতাশ হয়ে পড়ি।
No comments:
Post a Comment