‘গেইল ইজ ব্যাক’

নিজেই নিজেকে বলেন বস। নিজের বইয়ের নাম রাখেন—সিক্স মেশিন।
নিজেকে নিয়ে রসিকতা আর পাগলামো করায় জুড়ি নেই ক্রিস গেইল। ব্যাটে যেমন গ্যালারি মাতাতে পারেন, মুখের কথাতেও পারেন। গত বিপিএল উপলক্ষে ঢাকায় এসেই বলেছিলেন— বস এখন ঢাকায়। আর গতকাল একইরকম করে মাতিয়ে তুলে বললেন, গেইল ইস ব্যাক! সাথে জানিয়ে দিলেন, এবার ৪ ম্যাচেই ৫৫টা ছক্কাও মেরে দিতে পারেন।
সব ঠিক থাকলে আজই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এবার বিপিএলের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবেন চিটাগং কিংসের গেইল।
ঢাকায় এসেছেন শুক্রবার। গতকাল নিজের দল চিটাগং দলের সাথে এসেছিলেন অনুশীলনে। সেখানেই বললেন, শুরু থেকে খেলতে পারলে ভালো লাগতো। তারপরও একটু দেরী করে হলেও বিপিএলে আসতে পেরে খুব খুশী, ‘ফিরে ভালো লাগছে। টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেছে বেশ অনেক দিন। শুরু থেকেই খেলতে পারলে ভালো লাগত। তবে ব্যক্তিগত ঝামেলায় আসতে পারিনি। লক্ষ?্য সবসময়ই ছিল এখানে আসা। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলতে মুখিয়ে আছি। শেষবার যখন পয়েন্ট টেবিল দেখেছি, দল চার নম্বরে ছিল। শুরুতে কিছু ম্যাচ হারার পর মোমেন্টাম পেয়েছে দল, মোমেন্টামে থাকা একটি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারা সবসময়ই ভালো। আশা করি বিপিএলে আবার জয় দিয়ে শুরু করতে পারব।’
এরপরই বললেন, সারা দুনিয়াকে জানিয়ে দিতে যে, গেইল আবার ক্রিকেটে ফিরে এসেছে, ‘বিপিএলে কতগুলো সেঞ্চুরি করেছি? দুটি না তিনটি? তিনটি! স্ট্যাট আমি আসলে গুলিয়ে ফেলেছি। তবে পরিসংখ্যান নিয়ে আমি কখনোই ভাবিত নই, লক্ষ্য সবসময়ই মানুষকে যতটা সম্ভব বিনোদন দেয়া। সিপিএলের পর প্রায় ৪-৫ মাস হয়ে গেছে, আমি ম্যাচ খেলিনি। খেলায় ফিরতে পেরেই তাই ভালো লাগছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, টুইটারে অনেকেই বলছিল আমাকে মাঠে দেখতে চায়। কালকেই তাদের সুযোগ, টিভিতে চোখ নিবদ্ধ রাখার। শুধু এখানে নয়, বাইরেও। ক্রিস গেইল ইজ ব্যাক!’
ছক্কা মেরে যে মাঠ মাতাবেন, তাতে সন্দেহ নেই। এবার একটু বড় করেই ভাবার মতো করে বললেন, ‘১০ ইনিংসে ৫০ ছক্কা (বিপিএলে তার)? এবার ৪ ইনিংসে ৫৫টি মারতে পারি! হাহাহাহা... আসলে আমি তো ছক্কার জন্যই পরিচিত। সিক্স মেশিন হিসেবে চেনে লোকে। এটাই আমি সবচেয়ে ভালো পারি, ছক্কা মারতে। চেষ্টা করি যতটা সম্ভব বিনোদন দিতে। আশা করি কালকের উইকেট ভালো হবে। খেলায় ফিরে প্রথম ম্যাচে কিছুটা নার্ভাসনেস থাকতে পারে। তবে সেটাই জীবন। আমি উপভোগ করতে চাই। দর্শকও রোমাঞ্চিত আমি জানি। দর্শকের এনার্জিটাও আমি নিতে চাই, সেটা আমার জ্বালানি। লোকে যখন আমার কাছে ছয় চায়, চিত্কার করে, সেটা আমাকে ভালো করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।’
একটু সিরিয়াস হয়ে জানালেন, দেশে বসেই বিপিএল ফলো করছিলেন, ‘হ্যাঁ, জ্যামাইকায় থাকতে কয়েকটি ম্যাচ দেখেছি। এই কয়েকটি ম্যাচ, কিছু হাইলাইটস। ভাইকিংসের স্কোরগুলো ইন্টারনেটে দেখেছি, কারণ জানতাম ওদের হয়ে খেলব। মাঝে মাঝে অন্য দলগুলোর খেলাও দেখেছি, যাতে ওদের সম্পর্কে একটু ধারণা নিতে পারি।’ এরপর বললেন, তামিমের সাথে ওপেন করার জন্য মুখিয়ে আছেন, ‘মাত্রই আমার প্রথম ম্যাচ। কেবল নেট করে আসলাম, যেটি ছিল দারুণ। তামিম কন্ডিশন খুব ভাল জানে। আমি চাইলে একটু সময় নিতে পারি, দেখতে পারি তামম কিভাবে খেলছে। ও খেলার মধ্যেই আছে, জানে কিভাবে খেলতে হবে। আমি ওকে দেখে দ্রুত ধারণা নিতে পারি। ও অনেক অভিজ্ঞ। আমিও চেষ্টা করব যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক থাকতে। চেষ্টা করব দলকে বিস্ফোরক শুরু এনে দিতে।’
ইত্তেফাক

No comments:

Post a Comment

Recent Posts Widget