শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে প্রথমবারের মত ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে
বাংলাদেশ। নিজেদের শততম টেস্টে জয় পেয়েছে দলটি। তাই স্বাভাবিকভাবেই
ক্রিকেটারদের ওপর প্রত্যাশা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট
বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের স্বপ্নটা আরও বড়। তিনি আশা
করছেন, একদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। আর এ লক্ষ্যেই বিসিবি কাজ করে
যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ
ক্রিকেট দলের লংকা জয়ের ডামাডোলের মধ্যে দু’দিন আগে ঢাকায় পৌঁছেছে আইসিসি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দু’দিন যমুনা ফিউচার পার্কে প্রদর্শনী শেষে আজ মিরপুর
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রদর্শন করা হয় ট্রফিটি। সেখান থেকে জাতীয় সংসদ
ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করেন বিসিবি কর্মকর্তারা। ফটোসেশন শেষে
সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের জয়ের পাশাপাশি আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিসহ
ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।
বাংলাদেশের
ক্রিকেট নিয়ে তার প্রত্যাশা সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘প্রত্যাশা
বাড়েনি, তবে একটা লক্ষ্য তো থাকে। আমাদের যে সকল কার্যক্রম, নতুন কিছু করার
স্বপ্ন নিয়েই তো সেগুলো করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশ কবে
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে! আর এটা সহজ ব্যাপারও না, সবচেয়ে ভালো দলও সব সময়
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় না । তবে ইচ্ছাটা আমাদের আছে। আর সেভাবেই আমরা তৈরি
হচ্ছি।’
আগামী
জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্ট। ঐ
টুর্নামেন্টের গ্রুপ ‘এ’তে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। কঠিন গ্রুপে পড়লেও জয়ের সামর্থ্য
টাইগারদের আছে বলে মনে করেন পাপন।
এটাকে
বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি, ‘সামনে আমাদের বড় একটা চ্যালেঞ্জ
হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ইংল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশ গিয়ে কি করবে এটা
নিয়ে আমি সত্যি চিন্তিত। ওখানে গিয়ে কেউ সুবিধা করতে পারে না। তার উপর
আমারা যে গ্রুপে পড়েছি, সেটা অত্যন্ত কঠিন। তারপরও আমাদের ছেলেদের যে স্কিল
এবং প্রতিভা আছে তাতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ আমি দেখি না। ইংল্যান্ডের মত
পরিবেশে বাংলাদেশের খেলার অভিজ্ঞতা খুব কম।’
পাপন
আশা করছেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মত দেশে নিয়মিত খেললে
সেখানে অবশ্যই জয় পাবে টাইগাররা। কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ডে জয় না পেলেও
দারুণ ক্রিকেট খেলে এসেছে বাংলাদেশ। সে উদাহরণ টেনেই এ কথা বলেন পাপন,
‘আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠছে এবং জয়ের যে একটা বিশ্বাস ও
আগ্রহ- সেটা অনেক বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এখন এমন কোন দল নেই যাদের আমরা ভয়
পেতে পারি। হয়তো আমাদের তত অভিজ্ঞতা নাই। এবার নিউজিল্যান্ড সিরিজে কিন্তু
খারাপ খেলেনি দলটি। অবশ্যই ওইখানে কিছু ম্যাচ জেতা বা ড্র করা উচিত ছিল। যে
কোনো কারণেই হোক, ওটা হাতছাড়া করেছি। আমার ধারণা ইংল্যান্ড-
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে আমরা যদি নিয়মিত সফর করি তাহলে অবশ্যই আমরা
জিততে পারবো।’
শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে টেস্ট জয়ের ফলে এখন সকল দেশই বাংলাদেশকে সমীহ করে খেলবে বলে মনে
করেন পাপন। আগামী বছরে ১০টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশে বলে জানান তিনি। এছাড়াও
চলতি বছরে নির্দিষ্ট সময়েই অস্ট্রেলিয়া তাদের বাতিলকৃত সফরে টেস্ট খেলতে
বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে আশাবাদী বিসিবি প্রেসিডেন্ট। বাসস।
No comments:
Post a Comment