কুশাল পেরেরার হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে
প্রথম টি-২০ ম্যাচে ৬ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের
ছুড়ে দেয়া ১৫৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ২ ওভার ১ বল হাতে রেখেই
লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের
দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। টস হয়ে যাওয়ার ঠিক পরে নামলো বৃষ্টি। এই বৃষ্টিটা
খানিক পরে হলেও হয়তো ভেজা আবহাওয়া ও উইকেটকে কাজে লাগাতে আগে বোলিং করার
সিদ্ধান্ত নিতো বাংলাদেশ। কিন্তু এর আগেই টসে জিতে মাশরাফি ব্যাটিং নিয়ে
ফেলেছিলেন।
ইনিংসের
দ্বিতীয় বলেই তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। তারপরও সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ,
মোসাদ্দেকদের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মতো একটা স্কোর দাড় করাতে
পেরেছে সফরকারীরা। আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৫৫ রান তোলে ৫ উইকেট
হারিয়ে।
এই
ম্যাচ দিয়ে অনেকদিন পর খেলায় ফিরেছেন লাসিথ মালিঙ্গা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই
কোন রান না করে তামিম মালিঙ্গার শিকার হয়ে ফেরেন। এরপর অবশ্য বাংলাদেশকে
দারুণ একটা সূচনা এনে দেন সৌম্য ও সাব্বির। দু জনে মাত্র ৫.১ ওভারে ৫৭ রান
যোগ করে ফেলেন স্কোর বোর্ডে। কিন্তু একই ওভারে ফিরে যান এই দুই মারকুটে
ব্যাটসম্যান। দুই ওভার পরে ৮ রান করা মুশফিক এবং আর তিন ওভার পর ১১ রান করা
সাকিবও ফিরে আসেন।
এরপরই
দারুণ একটা প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণ করেন দুই ময়মনসিংহর সন্তান
মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দু জনে ৭ ওভারে ৫৭ রানের একটা জুটি
করেন। মালিঙ্গার বলে ৩১ রানে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড হওয়ায় ভাঙ্গে এই জুটি।
তারপরও চলেছে মোসাদ্দেকের ব্যাট। শেষ অবধি তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। আর মাশরাফি ছিলেন ৯ রানে।
১৫৬
রানের টার্গেট টি-২০ ম্যাচে খুব বড় স্কোর নয় তা যেন শুরু থেকেই ব্যাট হাতে
প্রমাণ করছিলেন কুশাল পেরেরা। তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন উপাল থারাঙ্গা। ৬.৫
ওভারে এই উদ্বোধনী জুটির কল্যাণে দলীয় রান দাড়ায় ৬৫। মাশরাফি এ সময়
থারাঙ্গা ও দিলশান মুনাওয়েরাকে সাজঘরে ফেরালেও খেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল
লঙ্কানদের হাতে। কেননা আসলে গুনারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে
নিয়েছিলেন পেরেরা। শেষ সময়ে সিকুজে প্রসন্ন ও থিসারা পেরেরা দ্রুত কিছু রান
নিয়ে ১৫৬ রানের লক্ষ্য সম্পন্ন করে। ফলে ৬ উইকেটে জয় পায় লঙ্কানরা।
এই
জয়ের মাধ্যমে টি-২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। আগামী
টি-২০ ম্যাচে এপ্রিলের ৬ তারিখে একই মাঠে লঙ্কানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment