উপমহাদেশের
চীর প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী। রাজনৈতিক বৈরিতা দুই দেশের মধ্যে
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। দুই দেশের কিছু উগ্র মানষিকতার মানুষ একে অন্যের
দোষ খুঁজতে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকে। কিন্তু খেলাধুলা, সংস্কৃতি দুই দেশের
মানুষকে এতদিন কাছাকাছি আনত।
এদিকে
উরি হামলার পর বলিউডে পাকিস্তানি শিল্পীদের অভিনয় নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা দলের উপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার
পর থেকে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ হয়ে আছে। তাই আগের মত
পাক-ভারত ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্রিকেট প্রেমীরা। যাও দুই দলের
দেখা হয় সেটি কালেভদ্রে আইসিসির কোন ইভেন্টে।
তবে
দেশের মানুষের মত ক্রিকেটাররা মাঠে একে অন্যের বিরুদ্ধে জান-প্রাণ দিয়ে
খেললেও মাঠের বাইরে বৈরী দুই দেশের ক্রিকেটাররা অনেকেই একে অন্যের ভালো
বন্ধু। শুধু তাই নয় অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সন্তানরাও ভারতীয়
ক্রিকেটারদের ভক্ত। তারও ধোনি, কোহলি ও যুবরাজদের সুপারহিরোর মত পছন্দ
করে।
এবারের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে
ভারত পাকিস্তানকে হারালেও ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে শোচনীয় ভাবে হেরে
ট্রফিটাও খুইয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের পর ভারতে অনেক বিক্ষোভ
হয়েছে, ধোনিদের বাড়ির সামনে বসেছে পুলিশ প্রহরা। অনেক বোদ্ধা-ভক্ত ভারতীয়
দলের সমালোচনাও করছে কটু ভাবে। এতকিছুর মধ্যে ভারতীয় দল তাই দেশে না ফিরে
সরাসরি উড়ে গেছে ওয়েস্টইন্ডিজে।
Thanks to these legends for sparing their time for my kids they were so happy.... @msdhoni @imVkohli @YUVSTRONG12 pic.twitter.com/mxWlwsOxrI— Azhar Ali (@AzharAli_) June 20, 2017
তবে
এমনি সময়ে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিলেন আজহার আলী। সন্তানেরা যে ভারতীয়
ক্রিকেটারদের দারুণ ভক্ত সেটি জানিয়ে দিয়ে কোহলি, যুবরাজ ও ধোনিদের সঙ্গে
নিজের সন্তানদের ছবি সঙ্গলবার টুইটারে শেয়ার করেছেন আজহার। অন্যদিকে আরেকটি
টুইটে ভারতীয় এক সাংবাদিক একটি ছবি দিয়েছেন যেখানে দেখা যায়, পাক অধিনায়ক
সরফরাজের ৬ মাস বয়সী শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
A nice pic ahead of the Champions Trophy finals. @msdhoni with Sarfraz Ahmed baby: sports beyond boundaries!! #IndVsPak pic.twitter.com/8WNAlHzf4B— Rajdeep Sardesai (@sardesairajdeep) June 17, 2017
ছবিগুলো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকেই মন্তব্য করছে
ক্রিকেটারদের মত যদি দুই বৈরী দেশের মানুষ শিক্ষা নিতে পারে। একে অন্যকে
ঘৃণা না করে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে।হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments:
Post a Comment