আগেই
শোনা গিয়েছিল, টি-টেন ক্রিকেট লিগে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাকিব আল
হাসান। এবার জানা গেল, মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য
এই লিগে খেলতে যাচ্ছেন আরো দুই বাংলাদেশি। তারা হলেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও
বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
আগামী
১৪ থেকে ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। ছয় দলের
অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্টটির জন্য রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় ‘প্লেয়ার
ড্রাফট’। সেখানে কাটার মাস্টারকে দলে নিয়েছে বেঙ্গল টাইগার্স। দলের অধিনায়ক
পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ। সাথে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি,
সুনিল নারাইন, আন্দ্রে ফ্লেচার, জনসন চার্লস ও পাকিস্তানের রুম্মান রাইস,
হাসান আলি। কোচের দায়িত্বে আছেন ওয়াকার ইউনুস পাকিস্তানের কিংবদন্তি
পেসার।
তামিমকে
নিয়েছে টিম পাখতুন। সেখানে আছে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি, জুনায়েদ খান,
ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, উমর গুল, ইংল্যান্ডের লিয়াম ডওসন ও ওয়েস্ট
ইন্ডিজের ডোয়াইন স্মিথ।
সাকিবের
দল কেরালা কিংস। সেখানে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ, সোহেল তানভির, ওয়েস্ট
ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড, রায়ান এমরিট, স্যামুয়েল বদ্রি, চ্যাডউইক ওয়ালটন,
নিকোলাস পুরান, নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডেসকাটে, আয়ারল্যান্ডের পল
স্টার্লিং, ইংল্যান্ডের লিয়াম প্লাঙ্কেটরা আছেন।
বাকি
তিনটি দল হল- টিম পাঞ্জাব লিজেন্ডস, টিম মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স ও টিম
শ্রীলঙ্কা। যদিও, দেশে ওই সময় চলবে শ্রীলঙ্কা দলের সফর। তাই,
মুস্তাফিজ-তামিম ও সাকিব আদৌ খেলতে পারবেন কি না সেটা নিশ্চিত নয়।
প্রথম
টুর্নামেন্ট বলেই কী না, আগে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আদৌ কোনো
ভবিষ্যত্ আছে কী না সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে, সেই সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে
দেওয়া যাচ্ছে না। যেমন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কথাই ধরা যাক না। এর জন্ম
২০০৩ সালে ইংল্যান্ডে। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ
হয় ২০০৫ সালে, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়
অস্ট্রেলিয়া।
এরপর
থেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বকাপের সাথে
সাথে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), বিগ ব্যাশ কিংবা বাংলাদেশ
প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মত ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি
টুর্নামেন্টের সুবাদে ক্রিকেট বিশ্বে এখন প্রতিষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট।
এবার
সেখানে যোগ হতে যাচ্ছে টি-টেন ক্রিকেট। ম্যাচগুলো অনেকটা ফুটবলের ম্যাচের
মত হয়ে যাবে। কারণ, ম্যাচটা শেষ হতে ৯০ কিংবা তার একটু বেশি সময় লাগার কথা।
No comments:
Post a Comment