দ্বিতীয় দফায় জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালনে কোন রকম পারিশ্রমিক গ্রহণ না করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কোচ হিসেবে প্রত্যাবর্তনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা।
এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৫৫ বছর বয়সী ম্যারাডোনা। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে দল হেরে যাওয়ার পর দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পান তিনি।
এরপর ২০১১ সালে দুবাইর আল ওয়াসেল ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নেন ম্যারাডোনা। কিন্তু কোচিংয়ে অদক্ষতার কারণ দেখিয়ে ২০১২ সালের জুলাই মাসে তাকে বরখাস্ত করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এদিকে ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হওয়ায় কোচ জেরার্ডো মার্টিনোকে বরখাস্ত করেছে
আজেন্টাইন কর্তৃপক্ষ। ফলে এই মুহূর্তে জাতীয় দলের কোচের পদটি খালি রয়েছে। ১৯৯৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া ম্যারাডোনা আশাবাদী যে এই পদটি তাকে দেয়া হবে।
ফক্স স্পোর্টসকে ম্যারাডোন বালেন, ‘দিয়াগো সিমিওনে আর্থিক কারণে এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত নন। আর আমার কাছে অর্থ কোনো বিষয় নয়। আমি বিনা পারিশ্রমিকে জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই। অনেক লোক মনে করেন আমি একজন ব্যয়বহুল কোচ। তাহলে মরিনহো, আনচেলত্তি কিংবা সিমিওনে কি? আমি জানি না তাদের তুলনায় আমি কতটুকু ব্যয়বহুল। শুরু থেকেই আমি অনেক কোচিং মিস করেছি। আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে লড়াই করছি।’
উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত কোচ জুলিও ওলারটিকোয়েচার অধীনে আসন্ন ২০১৬ রিও অলিম্পিকে অংশ নিবে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।
News collect from : dailynayadiganta

