ঠিক দেড়বছর আগেও ক্রিকেট দুনিয়ার বড়
দেশগুলোর সঙ্গে জয়-পরাজয়ের হিসাবে বাংলাদেশের সামনে ছিল বিশাল ব্যবধান। তবে
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর তিনটি হোম সিরিজ সেই ব্যবধান তো ঘুচিয়েছে;
পুনর্জন্ম হলো যেন এক নতুন বাংলাদেশের। ২০১৫ সালের এপ্রিলের সিরিজের আগে
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩২ ম্যাচ খেলে ১ জয় ও ৩১ হার ছিল বাংলাদেশের। তিন
ম্যাচের সিরিজের পর ৩৫ ম্যাচ বাংলাদেশের জয় ৪টি, হার ৩১টি।
জুনে
তিন ম্যাচ সিরিজের আগে ভারতের সঙ্গে ২৯ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছিল ৩টি, হার
২৫টি। আর সিরিজের পর ৩২ ম্যাচে ২৬ হারের বিপরীতে বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা
বেড়ে দাঁড়ায় ৫টি।
জুলাইয়ে
অনুষ্ঠিত সিরিজের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪ ম্যাচে ১৩ হারের সঙ্গে
বাংলাদেশের জয় ছিল ১টি। সিরিজের পর ১৭ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের জয় ৩টি, হার
১৪টি।
শুক্রবার
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
সিরিজের আগ পর্যন্ত ইংলিশদের সঙ্গে ১৬ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৩টি। পরাজয় আছে
১৩টি। সিরিজের পর দু’দলের লড়াইয়ে টাইগারদের জয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে কিনা তা
সময়ই বলে দিবে।
২০১৫’র
ওই সিরিজগুলোর মতোই ইংল্যান্ড বাংলাদেশের সামনে প্রবল প্রতিপক্ষ। যাদের
সঙ্গে জয়-পরাজয়ের রেকর্ডটা খুব সুখকর নয়। অসম ব্যবধান। দেশের মাটিতে
সাতবারের সাক্ষাতে ইংলিশদের মাত্র একবার হারাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেটা
২০১১ বিশ্বকাপে। তবে গত দুই বছরে ঘরের মাঠে টাইগারদের অনন্য পারফরম্যান্স
থেকে আশাবাদী হওয়ার প্রেরণা পেতে পারেন মাশরাফি। ২০১৪’র অক্টোবর থেকে এখন
পর্যন্ত দেশের মাটিতে ২০ ম্যাচ খেলে ১৭টিতেই জয় যে টাইগারদের। আত্মবিশ্বাসী
হতে আর কিছু লাগে?
তাহলে
কি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই সিরিজেও বাংলাদেশই থাকছে ফেভারিটের আসনে?
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ফেভারিট প্রশ্নে নিজেদের এগিয়ে
রাখছেন না। বরং প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকেই শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছেন, তারা অনেক
শক্তিশালী দল। তিনি বলেন, ‘প্রথমত খেলার কথা কিছু বলা যায় না আগে থেকে।
ওদের ব্যাকআপ ক্রিকেটাররাও অনেক ভালো। যারা এসেছে, ওরা অভিজ্ঞ। ওদের ঘরোয়া
ক্রিকেটের কাঠামো অনেক শক্তিশালী। যারা এসেছে তারা যথেষ্ট যোগ্য ও ভালো
বলেই এসেছে। একই সঙ্গে ওদের ম্যাচ উইনিং ক্রিকেটার অনেক আছে, যারা একাই
ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। আমাদেরকে ফেভারিট বলা কঠিন। ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা
হবে এবং আমরা সেটির জন্য প্রস্তুত।’
অন্যদিকে
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার সিরিজে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন। নিজেদের
কন্ডিশনে টাইগারদের পারফরম্যান্সকে সমীহ করছেন তিনি। এমনকি আন্ডারডগ তকমা
নিয়ে সিরিজ খেলতেও আপত্তি নেই তার। বাটলার জানালেন, ‘হতে পারে বাংলাদেশ
ঘরের মাটিতে নিজেদের কন্ডিশনে এবং ওয়ানডে সিরিজগুলোতে তাদের সাম্প্রতিক
সাফল্যে খুবই শক্তিশালী। আমরা আন্ডারডগ হয়ে নামলেও সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র
চিন্তা নেই, সেটা হয়তো আমাদের সঙ্গে ভালভাবেই খাপ খেয়ে যায়!’
No comments:
Post a Comment