দিনের
ব্যস্ত সময়ে রাঁচির রাস্তা দিয়ে প্রবল গতিতে ছুটছে একটি গাড়ি। পিছনেই ওই
গাড়ির গতির সঙ্গে প্রাণপণে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টায় ধাওয়া করছে একটি
স্কুটি। না, এটা কোনো চোর-পুলিশ খেলা নয়। প্রিয় নায়কের পিছু নিয়েছে এক
নাছোড় ভক্ত। বেশি কিছু না, একটা সেলফি তোলা চাই-ই তার। আর তাই এই পিছু
পিছু ধাওয়া করে যাওয়া!
সামনেই
প্রিয় নায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাই সাতপাঁচ না ভেবে ক্ষণিকের ছোঁয়া ও
সেলফির নেশায় জীবন বাজি রেখে স্কুটি ছোটালেন আরাধ্য নামের ওই নারী ভক্ত।
আর ওই একটা কথা আছে না, মনপ্রাণ দিয়ে কোনো কিছু চাইলে তা অবশ্যই পাওয়া
যায়। আরাধ্যর ক্ষেত্রেও সেটাই সত্যি হল। জীবন বাজি রেখে দেয়া এই দৌড় বা
ধাওয়া সফল হল।
কোনো
'পাইলট কার' ছাড়াই প্রিয় 'হামার' -এ চেপে রাঁচির বাড়ি থেকে ধোনি
বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয়েছিলেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেতে খেতে
তাকে দেখতে পান আরাধ্য। ব্যস, প্রিয় নায়ককে দেখতে পেয়ে স্থান-কাল-পাত্র
ভুলে স্কুটি নিয়ে ছুট লাগান তিনি। ট্রাফিক সিগন্যাল, রাস্তার গাড়ি কোনো
কিছুর তোয়াক্কা না করে ধোনির গাড়িকে ধাওয়া করেন।
বিমানবন্দরে
পৌঁছে ধোনি যখন গাড়ি থেকে নেমে লাউঞ্জে ঢুকছেন তখন পেছনে এসে থামে
আরাধ্যর স্কুটি। নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে দেওয়ায় সেখানেই থেমে যায় আরাধ্যর
দৌড়। কিন্তু এতদূর এসে হাল ছাড়তে নারাজ এই অন্ধ ভক্ত, শুরু করলেন আর্ত
চিৎকার। সেই চিৎকার পৌঁছালো ধোনির কানে। সেলফির আবদার মেটাতে ভারত অধিনায়ক
এসে দাঁড়ালেন ভক্তের পাশে। আরাধ্যের স্বপ্নপূরণ করে ক্যামেরা-বন্দি হল সে
মুহূর্ত।
পরে
অবশ্য আরাধ্যের এই দুঃসাহসিক দৌড়ের কথা শুনে চমকে উঠেন স্বয়ং ধোনি।
কিন্তু কোনো কিছু চাইলে অন্ধের মতো তাকে অনুসরণ করে কিভাবে পাওয়া যায় এ
শিক্ষা তো রাঁচির সেই মহেন্দ্র সিং ধোনিরই শেখানো।
No comments:
Post a Comment