কুমিল্লাকে সহজেই ৩৩ রানে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে ঢাকা। রান রেটে বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটান্সকে পেছনে ফেলেছে তারা। চার ম্যাচে তিন দলেরই পয়েন্ট ৬ করে। শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারানোয় কুমিল্লা কখনও জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। ৯ উইকেটে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা তুলতে পারে ১৬১ রান।
এ নিয়ে চারটি ম্যাচের সবকটিতেই হারল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ইমরুল কায়েসের ওপর অনেকখানি নির্ভর করেছিল কুমিল্লা। দলকে হতাশ করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চমৎকার শুরু করেও নাসির হোসেনের বাজে বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে আলাউদ্দিন বাবুকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
চলতি আসরে প্রথমবারের মতো খেলা আহমেদ শেহজাদ মোসাদ্দেক হোসেনকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরেন। মাশরাফির ব্যাটেই ব্যবধান কমায় কুমিল্লা। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের এক ওভারে চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকান মাশরাফি। ৩৫ বলে দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪৭ রান করে ফিরেন তিনি। ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তরুণ সাইফুদ্দিন। ১২ বলে ২০ রানের ছোট্ট ইনিংসে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা দিয়ে যান কুমার সাঙ্গাকারা।
তারকা খচিত ঢাকা অবশ্য এই চাপ কাটিয়ে উঠতে সময় নেয়নি। ২.৪ বলে সাকিব আল হাসান-ডোয়াইন ব্রাভো গড়েন ৩৬ রানের জুটি। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রাভো। ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সেরা বোলার রশিদ। দলকে প্রথম জয় এনে দিতে তার একার লড়াই যথেষ্ট ছিল না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০ ওভারে ১৯৪/৫ (মারুফ ৬০, সাঙ্গাকারা ২০, নাসির ৪৩, বোপারা ৮, সাকিব ২৪, ব্রাভো ১৩*, প্রসন্ন ৬*; মাশরাফি ০/৩১, তানভির ০/৩৬, আল আমিন ১/৭, নাবিল ০/৩২, রশিদ ৩/২৮, সাইফুদ্দিন ০/১৮, ডেসকাটে ১/৩৬)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৬১/৯ (ইমরুল ১৯, জসিম ১০, শেহজাদ ১৫, নাজমুল ১৬, তানভির, রশিদ ২, আল আমিন ০, মাশরাফি ৪৭, সাইফুদ্দিন ১৮*, নাবিল ১*; সাকিব ০/৩৪, নাসির ১/২০, প্রসন্ন ২/১৫, মোসাদ্দেক ১/১৪, সানজামুল ১/১৩, শহীদ ৩/৩৪, ব্রাভো ০/১৭, বোপারা ১/১৩)
ফল: ঢাকা ৩৩ রানে জয়ী
No comments:
Post a Comment