ভারতীয়
ক্রিকেটের সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব নিজের ইচ্ছায় ছাড়েননি মহেন্দ্র সিং
ধোনি। বরং বোর্ডের চাপে ওই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি।
এই
অভিযোগ করেছেন বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আদিত্য বর্মা। তার
দাবি, 'বিসিসিআই-এর যুগ্ম সভাপতি অমিতাভ চৌধুরীর চাপেই একদিন ধোনি
টি-টুয়েন্টি ম্যাচ থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার ওই সিদ্ধান্ত
স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না।'
হিন্দুস্তান
টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অমিতাভ চৌধুরী ৪ জানুয়ারি
বিসিসিআই-এর প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদকে ফোন করেন। চৌধুরী, প্রসাদকে
ধোনির কাছ থেকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে বলেন।
একইদিনে
নাগপুরে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে গুজরাটের কাছে হারে ঝাড়খণ্ড। আদিত্য
বর্মার কথায়, 'ধোনি মেন্টর হওয়া সত্ত্বেও গুজরাটের কাছে ঝাড়খণ্ডের হার
নিয়ে অখুশি ছিলেন চৌধুরী। এরপরই প্রসাদকে ফোন করে নির্দেশ দেন ধোনির কাছে
লিখিতভাবে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাওয়ার জন্য। গোটা ঘটনায় ব্যথিত
ধোনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানান।'
আদিত্য
বর্মার অভিযোগ, 'ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রাক্তন সভাপতি
অমিতাভ চৌধুরী এবং ধোনির মধ্যে একটা শীতল সম্পর্ক ছিল। বারবার অনুরোধ
সত্ত্বেও রঞ্জি সেমিফাইনাল ম্যাচে ধোনি খেলতে অস্বীকার করাতেই সমস্যা বাড়ে
দুজনের মধ্যে।'
ধোনির
আচমকা অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণায় ক্রিকেট বিশ্ব এবং ধোনি-ভক্তরা হতবাক হয়ে
যান। কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত ধোনি নিলেন তা নিয়ে কৌতূহল জন্মায়। বর্মার
অভিযোগ সেই কৌতূহলে নতুন করে ঘি ঢালল।
ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment