বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসরের তথ্য সঠিক নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট
থেকে অবসরে যেতে চান এমন কিছুই নাকি মাশরাফি বলেননি বিসিবি সভাপতি নাজমুল
হাসান পাপনকে। গতকাল ধানমন্ডিতে নিজের অফিসে বিসিবি সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে
বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করা বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন
একটু কানাঘুষা শুনে তাকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে
কয়েকটি টিভি চ্যানেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিসিবি সভাপতি
গতকাল বলেছেন, ‘আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি একটা জিনিস যে, মাশরাফির সাথে
আমার যে সম্পর্ক এবং যেহেতু ওর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ আছে, এ ধরনের একটা বড়
সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমার সাথে আলাপ না করে সে এটা করবে না। আর ওখানে গিয়ে
করবে কি জন্য? সে যদি করতেও হয় সে বাংলাদেশে আসবে, এসে আমার সাথে আলাপ
করবে, তারপরে সিদ্ধান্ত।’
তিনি
আরো বলেন, ‘এটা অনুযায়ী আমি আজকে (গতকাল) আবার সকালে মাশরাফির সাথে আমার
কথা হয় এবং মাশরাফি আমাকে ঠিক এই কথাটাই বলেছে যে, যদি এরকম কিছু করি, আমি
কি আপনার সাথে আলাপ না করে কখনো কিছু করবো। তাই এটাই বাস্তবতা যে, যে কথাটা
এসেছে সেটা সঠিক না। মাশরাফি আমাকে কখনোই বলেনি বা আমাকে এমন কেউই বলেনি
যে সে করতে যাচ্ছে এবং তথ্যটা আসলেই ঠিক না।’
যদিও
রবিবার নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। একটি
বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিতে চান। দেশে ফিরে ঘোষণা দিবেন।
অবশ্য
বোর্ড সভাপতিকে এই বিষয়ে ধারণা দিয়েছিলেন বিসিবির সিইও। পাপন বলেন, ‘আমাকে
সিইও সুজন, সে আমাকে বলল যে, আপনাকে কি মাশরাফি কিছু বলেছে। আমি বললাম না
তো, কি বলবে? তো বলল যে, এখানে সবাই কানাঘুষা করছে যে, মাশরাফি নাকি অবসর
নিবে টি-টোয়েন্টি থেকে। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তোমাকে কিছু বলেছে?
বলল না, আমি তো ওর সাথে কাল রাতেও কথা বললাম, আমাকে তো কিছু বলেনি। তাহলে
এটা হতেই পারে না। সে ওখানে গিয়ে কেন করবে। এভাবেই কথাটা এসেছে। আমি মনে
করি মাশরাফি যদি অবসর নেয়, এটা তার সিদ্ধান্ত। মাশরাফি এখন পর্যন্ত আমাকে
কিছু বলেনি। আর আমাদের তরফ থেকে, ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে ওরকম কিছু নেই।
সেজন্যই আমি বলছি যে কথাটা ঠিক না।’
মাশরাফিকে
দল থেকে বাদ দেয়ার চিন্তাও নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। গতকাল তিনি
বলেছেন, ‘ও যতদিন ফিট থাকে, ততদিন পর্যন্ত ওকে আমরা রাখবো। এটা ছিল প্রথম
কথা। এখন ফিটনেসের সাথে সাথে আরো কিছু ব্যাপার আছে। যেগুলো নাকি মনোযোগে
নিতে হয়। আমরা ওকে নিচ্ছি দুটো মেজর দায়িত্বে। প্রথম হচ্ছে অধিনায়ক।
অধিনায়ক হিসেবে সে সবসময় দলে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত সে একজন বোলার এবং শেষ
টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা ছাড়া আমার জানামতে ও প্রত্যেকটা সিরিজে ভালো বোলিং
করেছে। কাজেই ওর যে বোলিং খারাপ এজন্য ওকে বাদ দিতে হবে এমন কোনো চিন্তাই
আমাদের মাথায় কখনো আসেনি।’
সীমিত
ওভারের ক্রিকেটে মাশরাফির পর বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক কে হতে পারেন সে
বিষয়েও ধারণা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিন সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল,
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মাঝেই কেউ ভবিষ্যতে অধিনায়ক হবেন।
পাপন
বলেন, ‘মাশরাফির পরে অধিনায়ক হওয়ার মতো আমাদের এখানে একাধিক প্লেয়ার আছে।
তামিম, সাকিব এখনই সহ-অধিনায়ক আছে। এছাড়াও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আছে। এই
মুহূর্তে বলা কঠিন কে হবে। এই তিনজনের একজন হবে। এর বাইরে থেকে কারো হওয়ার
সম্ভাবনা নেই।’
ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment