বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটি ৬উইকেটে জিতেছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই
জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলো প্রোটিয়ারা। এই সিরিজ জয়ে
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানও দখল করলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
২-২
সমতা নিয়ে অকল্যান্ডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামে দুই দল। টস
জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং-এ আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া দলের
অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপে পড়ে শুরু থেকে
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ৮৭ রানে উপরের সারির ৬
উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় কিউইরা। পতন হওয়া ৬ উইকেটের মধ্যে চার
ব্যাটসম্যান দু’অংকে পা দিতে না পারলেও, ওপেনার ডিন ব্রাউনলি ও জেমস নিশাম
২৪ রান করে করেন।
লোয়ার-অর্ডারে
ছোট ছোট দু’টি ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা
থেকে রক্ষা করেন মিচেল স্যান্টনার ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। স্যান্টনার ২৪ ও
গ্র্যান্ডহোম দলের সর্বোচ্চ ৩২ রানে ফিরেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে
গ্র্যান্ডহোমের বিদায়ে ৫৩ বল হাতে রেখে ১৪৯ রানেই আটকে যায় নিউজিল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ৩টি নিয়ে হয়েছেন ম্যাচের সেরা। এ ছাড়া ইমরান
তাহির ও পেসার আন্দিল ফেলুকুয়াইও ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে
শুরুতে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়
তারা। সেই চাপ পরবর্তীতে সামাল দিয়ে উঠেন ফাফ ডু-প্লেসিস ও ডি ভিলিয়ার্স।
৪০ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন তারা।
দলীয় ৮৮ রানে ডি ভিলিয়ার্স (২৩) ফিরে গেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফাফ
ডু-প্লেসিস ও ডেভিড মিলার। ৬০ বলে দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটিতে ১০৬
বল বাকি রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডু-প্লেসিস ৫১ ও মিলার ৪৫
রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ১৪৯/১০, ৪১.১ ওভার (গ্র্যান্ডহোম ৩২, নিশাম ২৪, রাবাদা ৩/২৫)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৫০/৪, ৩২.২ ওভার (ডু-প্লেসিস ৫১*, মিলার ৪৫*, প্যাটেল ২/২৬)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment