রবিবার লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য পাকিস্তান
সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। জঙ্গিদের ক্রমবর্ধমান হামলা গত কয়েক বছরের মধ্যে
পাকিস্তানের মাটিতে সর্ববৃহৎ এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেট
তারকাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ
জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক সেনা ও
বুলেট গ্রুপ গাড়িও ব্যবহার করবে আয়োজকরা। ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরকারী
শ্রীলংকান খেলোয়াড় বহনকারী বাসে সশস্ত্র হামলার কারণে বর্তমানে নির্বাসিত
রয়েছে পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন। ফলে অস্থিতিশীল নিরাপত্তা
ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য লাহোরের পুরো ভেন্যু জুড়ে মোতায়েন থাকবে হাজার হাজার
সেনা ও পুলিশ সদস্য।
কোয়েটা
গ্লাডিয়েটর্স ও পেশোয়ার জালমির মধ্যকার টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ফাইনাল
ম্যাচকে ঘিরে কাটছেনা সন্ত্রাসী হামলার আতংক। যে কারণে আগের ম্যাচগুলো
অনুষ্ঠিত হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ফেব্রুয়ারিতেই পাকিস্তানে জঙ্গিদের
কয়েক দফা হামলার পরও লাহোরে পিএসএলের এই ফাইনাল আয়োজনের উদ্যোগটি ব্যাপক
সমালোচনার মুখে পড়েছে। ওই হামলায় নিহত হয়েছে ১৩০ জন। তন্মধ্যে লাহোরে
আত্মঘাতী হামলায় মারা গেছে ১৪জন।
‘এমন
নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরও যদি সহিংসতা ঘটে, তাহলে আগামী কয়েক যুগের জন্য
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হবে পাকিস্তানকে।’ এক টুইটার বার্তায়
এমন মন্তব্যই করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তী ক্রিকেটার ইমরান খান।
ইতোমধ্যে
লাহোরে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের খবর শুনে কোয়েটা দল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার
করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন, লুক রাইট ও টাইমাল মিলস। দক্ষিণ
আফ্রিকার সতীর্থ খেলোয়াড় রাইলি রুশো এবং নিউজিল্যান্ডের নাথান ম্যাককালামও
সরে গেছেন ফাইনাল ম্যাচ থেকে। এক টুইটার বার্তায় রাইট লিখেছেন, ‘আমার কম
বয়সী পরিবার রয়েছে। ক্রিকেটের একটি ম্যাচের জন্য আমি তাদেরকে ঝুঁকিতে ফেলতে
পারিনা।’
এদিকে
পেশোয়ারের মালিকপক্ষ দাবী করেছে যে তাদের দলের ৫ বিদেশী খেলোয়াড়ের সবাই
লাহোরে যেতে রাজি আছেন। এরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামি ও মারলন
স্যামুয়েলস, ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান এবং ইংল্যান্ডের সামিট প্যাটেল ও
ডেভিড মালান। তবে খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার
ক্রিকইনফোর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুটি দলই প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ
ব্যবস্থায় নতুন করে ১২ জন বিদেশি খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক দলের সফর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়দের আর্থিক
স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও অস্ট্রেলিয়ার বিগ
ব্যাশ লিগের আদলে সুপার লীগের আয়োজন শুরু করে স্থানীয় ক্রিকেটের পরিচালনা
সংস্থা পিসিবি। এটি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর। রবিবারের ম্যাচটি সফলভাবে
আয়োজনের উপর নির্ভর করছে পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের টুর্নামেন্ট আয়োজনের
ভবিষ্যৎ। এএফপি।
ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment