চতুর্থ
ইনিংসে শ্রীলংকার ৪৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিনটা শেষ করেছিল বিনা
উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে। কিন্তু পঞ্চম দিনের প্রথম দুই ঘণ্টার বিভীষিকাময়
ব্যাটিংয়ের দরুণ মাত্র ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।
৯৯তম টেস্টটি ২৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারলো মুশফিকুর রহিমের দল। অবশ্য
শ্রীলঙ্কার বেঁধে দেয়া লক্ষ্য অর্জন করতে গেলে নতুন ইতিহাস লিখতে হত
টাইগারদের। কেননা এর আগে শ্রীলঙ্কার গলে মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান
৩০০। ২০১২ সালে পাকিস্তান এই সংগ্রহ করেও ম্যাচটি হেরেছিল। আর সফল রান চেজ
সেটা করেছিল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১০৪ সালে ৯৯ রানের জয়ের
লক্ষ্যে পৌঁছে গেছিল মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। এদিকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে
সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তারা করে জেতার রেকর্ড আছে। যেটা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এতসব
বৈরীতা সত্ত্বেও টাইগার ভক্তদের আশা ছিল বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং করে
ম্যাচটি অন্তত ড্র করে আসবে। গতকাল সাকিবও সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, জানি
ওদের দুর্দান্ত তিনজন স্পিনার আছে। আসলে ওদের সবাই ভালো বোলিং করেছে। তবে
জয় না হোক, ড্র মনে হয় আমরা এ টেস্টে করতে পারব।
কিন্তু
সে আশায় গুঁড়েবালি। যদিও গতকাল চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে
তামিম-সৌম্যর উদ্বোধনী ব্যাট অাশার অলো জ্বালিয়ে দিলেও পঞ্চম দিনের শুরুর
দুইঘন্টায় সব আশা শেষ।
পঞ্চম
দিনের শুরুতে আসেলা গুনারত্নের করা দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড
হয়ে যান সৌম্য সরকার। পেরেরা বলে দলীয় ৭৭ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরত যান
মমিনুল। দলীয় ৮১ রানে পেরেরার দ্বিতীয় শিকার পরিণত হয়ে ফেরত যান তামিম।
গুনারত্নের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ১৯ রান করেছিলেন তামিম।
দিনের
২৮তম ওভার করতে এসে রঙ্গনা হেরাথ এক ওভারে তুলে নেন সাকিব ও
মাহমুদুল্লাহকে। সাকিব করুনারত্নের হাতে লেগ স্লিপে ক্যাচ দেয়ার আগে ৮ রান
করেন। একই ওভারের শেষ বলে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহ।
টেস্ট ক্রিকেটে মাহমুদুল্লাহ শেষ শতরান করেছিল ৭ বছরেরও বেশি হয়ে গেল।
কিছুদিন থেকে তার ব্যাটও একদম কথা বলছে না।
এরপর লিটন দাস ২৫ ও মিরাজ ২৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেলেও পরের তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটাও স্পর্শ করতে পারেন নি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ ৫৯ রানে ৬ উইকেট লাভ করেছেন।
No comments:
Post a Comment