২০০৮
সালে মালয়েশিয়ায় অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল
শিরোপা জিতেছিল। ঐ সময় দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন ডেভ হোয়াটমোর। ঐ দলে বল
হাতে ভারতের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন সহ-অধিনায়ক রবিন্দ্র জাদেজা। প্রায়
এক দশক পরে বিশ্ব ক্রিকেটে কোহলির উত্থান দেখে মোটেই অবাক নন হোয়াটমোর।
সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান মনে করেন এর পিছনে আইপিএল এর একটি ইতিবাচক প্রভাব
রয়েছে।
কলকাতা
নাইট রাইডার্সের সাথে গত তিন বছর যাবত সম্পৃক্ত রয়েছে হোয়াটমোর। এবার দশম
আসরে এসে টুর্নামেন্টকে কিভাবে দেখছেন এ প্রশ্নের উত্তরে হোয়াটমোর বলেছেন,
‘এটা ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। কিন্তু ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আবহের থেকেও এর প্রভাব
অনেক বেশী। এখানে শুধুমাত্র খেলোয়াড়রাই নন বরং কোচসহ তার সাপোর্ট স্টাফ ও
আম্পায়াররা এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আইপিএল থেকে অনেক দেশই আর্থিকভাবে
লাভবান হয়ে থাকে। এবং আইপিএল এর আদলে নিজেদের দেশে কিছু করার চেষ্টা করে।
আইপিএল এর প্রভাব বিশ্ব ক্রিকেটে এতটাই যে খুব সহজে এর থেকে কেউ বেরিয়ে
আসতে পারবে না।’
আইপিএল
এ খেলা ভারতীয় ক্রিকেটারও এর থেকে দারুন লাভবান হচ্ছে বলেই হোয়াটমোর মনে
করেন। তার মতে এখানে শুধুমাত্র বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রাই খেলছে না। বিভিন্ন
দলে ভারতের তরুনরাও সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি নিজ
দেশের বড় খেলোয়াড়দের সাথেও তারা ড্রেসিংরুম শেয়ার করছে। এ কারনেই ভারতের
বর্তমান প্রজন্মের খেলোয়াড়রা কোন কিছুতেই ভয় পায়না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
তারা বেশ স্বাচ্ছন্দেই নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে।
অনুর্ধ্ব-১৯
দলের সময় থেকে কোহলিকে দেখে আসছেন হোয়াটমোর। এই সময়ে মধ্যে তার মধ্যে কি
পরিবর্তন এসেছে এ প্রসঙ্গে হোয়াটমোর বলেছেন, তখনকার থেকে এ পর্যন্ত তার
মধ্যে কোন ধরনের পরিবর্তন আমি লক্ষ্য করিনি। সে সবসময়ই শারিরীক ভাবে
আগ্রাসী ছিল, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। নিজের পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য
সে ওজন কমিয়েছে। এর আগে প্রতিপক্ষ দল তার বিপক্ষে অফ-স্টাম্পের বাইরে
বোলিংয়ের পরিকল্পনা করতো। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সিরিজে সে ভাল খেলেনি।
কিন্তু এখন তাকে আমরা অফ-সাইডে খেলতে দেখি। নিজেকে সে ধীরে ধীরে পরিনত
করেছে। সে এখনো শিখছে। আমি মনে করি অধিনায়ক হিসেবেও সে দারুন উন্নতি করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া/বাসস।
No comments:
Post a Comment