দলের
দুই সেরা ব্যাটসম্যান মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খানের বিদায় টেস্ট ম্যাচের
প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে সফরকারী
পাকিস্তান। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৬৯ ওভার।
সিরিজের
প্রথম টেস্ট পাকিস্তান এবং দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই তিন
ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা বিরাজ করছে। সমান অবস্থায় থেকে সিরিজের
তৃতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নেমে টস ভাগ্যে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার
সিদ্বান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। দলীয় ১৯ রানেই প্রথম
উইকেট হারায় পাকিস্তান। ওপেনার শান মাসুদকে ব্যক্তিগত ৯ রানে থামিয়ে দেন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অফ-স্পিনার রোস্টন চেজ।
এরপর
দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার আজহার আলী ও তিন নম্বরে নামা বাবর আজম। উইকেট
আকড়ে ধরে, ঝুঁকি না নিয়ে খেলতে থাকেন তারা। এতে শুরুতে রান তোলার গতি কমই
ছিলো পাকিস্তানের। তবে উইকেটে সেট হওয়ার পর রান তোলার গতি কিছুটা বাড়িয়ে
দেন আজহার-বাবর। তাই দু’জনের জুটির স্কোর স্বাদ পায় শতকের। এ সময়
হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদও পান দু’জনে।
টেস্ট
ক্যারিয়ারের নবম ম্যাচে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বাবর থেমে যান ৫৫
রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার আলজারি জোসেফের শিকারের আগে ১২৪ বল মোকাবেলা
করে ৩টি চারে নিজের ইনিংসটি সাজান বাবর। আজহারের সাথে ২৫০ বলে ১২০ রানের
জুটি গড়েন তিনি।
দলীয়
১৩৯ রানে বাবরের বিদায়ে উইকেটে আসেন ইউনিস। মাঠের প্রবেশের সময় ইউনিসকে
গার্ড অব অনার দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়রা। সেই সম্মানের পর ব্যাট হাতে
সতর্কতার সাথেই খেলতে থাকেন ইউনিস। অন্যপ্রান্তে সতর্ক ছিলেন আজহারও। তাই
দিন শেষে অপরাজিত থাকেন দু’জনই। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৮ বলে ৩০ রানে
অবিচ্ছিন্ন থাকেন আজহার ও ইউনিস।
টেস্ট
ক্যারিয়ারের ২৬তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া আজহার স্বপ্ন দেখছেন ১৩তম
সেঞ্চুরির। এজন্য আরও ১৫ রান প্রয়োজন আজহারের। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১৯
বলে ৮৫ রানে অপরাজিত তিনি। ১১৮তম টেস্ট ম্যাচের ২১২তম ইনিংসে
বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি ছাড়া ৪৪ বলে ১০ রানে অপরাজিত ইউনিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৬৯/২, ৬৯ ওভার (আজহার ৮৫*, বাবর ৫৫, ইউনিস ১০*, মাসুদ ৯, চেজ ১/২৭)।
No comments:
Post a Comment