সর্বকালের
সেরা বোলারদের একজন তিনি। তাকে কাছে পেলে অনেক অভিজ্ঞ বোলারেরও বর্তে
যাওয়ার কথা। সেখানে এবার সিলেট সিক্সার্সের বোলাররা মেন্টর হিসেবে পাচ্ছেন
পাকিস্তানের গ্রেট পেসার ওয়াকার ইউনুসকে। অল্প সময়ের জন্য দলটির সাথে যোগ
দেওয়া এই সাবেক ফাস্ট বোলার বলছেন, তরুণদের সাহায্য করাই তার এই আসার
লক্ষ্য।
সিলেট
সিক্সার্স বিপিএল শুরুর আগেই একবার ওয়াকার ইউনুসকে এনেছিলো বাংলাদেশে। সে
দফায় এসেছিলেন পেস বোলার হান্টের বিচারক হিসেবে। এবার বিপিএলের মাঝে আবার
এলেন পাকিস্তানী এই গ্রেট। এবার তার ভূমিকা সিক্সার্সের মেন্টর।
গতকাল
নিজের এই ভূমিকা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপ করতে গিয়ে ওয়াকার
বলছিলেন, তার কাজটা আসলে তরুণদের সাহায্য করা, ‘আমি আসলে তরুণদের সাহায্য
করতেই এখানে এসেছি। আমার কাজটি প্রতিদিনের নয়। উঠতি তরুণ যাদের সহযোগিতার
প্রয়োজন তাদের সহযোগিতা করবো। পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টকেও সাপোর্ট দেবো।
আপনাকে ভুলে গেলে চলবে না এটা সিলেটের প্রথম। ওদের পর্যাপ্ত সহযোগিতার
প্রয়োজন। যদি আমি কোনো কাজে আসি সেটা দু্ই পক্ষের জন্যই ভালো।’
স্বল্প
সময়ের জন্য ওয়াকারের এই মেন্টর হয়ে আসাটা কতোটা কাজে দেবে, এ নিয়ে অন্যদের
সংশয় থাকলেও ওয়াকার নিজে জানেন, এটা ফলপ্রসূ হবে। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা
থেকেই বলছিলেন, ‘আমি ফাস্ট বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সাহায্যার্থে চেষ্টা করে
যাচ্ছি। এর আগেও আমি এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। কখন কী করতে হবে সেটা
আমি ভালো করেই জানি। পাশাপাশি এও জানি বিপিএলের মত লিগগুলোতে আমার এমন
এফোর্ট কতটা ফলপ্রসূ হয়।’
এক
সময়ের এই বোলিং ত্রাস মনে করেন, সিলেট দলটার বোলিং আক্রমণ খুবই চমত্কার।
তিনি এখানে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ে বেশ মুগ্ধ, ‘দেখেন আমাদের দলটা
অভিজ্ঞ। এখানে ব্রেসনান, লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটসহ কয়েকজন উঠতি প্লেয়ারও আছে।
যেমন আবুল হাসান রাজু। দলটা ট্যালেন্টেড তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
টুর্নামেন্টের শুরুটা আমরা দারুণ করেছিলাম। প্রথম তিন ম্যাচেই আমরা জিতেছি;
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরি আমোদের কিছুটা পেছনে ঠেলে দিয়েছে। লিয়াম
প্লাংকেট তার শতভাগ দিতে পারেনি; কিন্তু আমরা কালকেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছি।
টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতেই আমরা এখানে। প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য
নতুন। কালকের ম্যাচে সিলেট আরো ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হবে।’
মেন্টরের
ভূমিকাটা ঠিক কোচের নয়। তারপরও অনেকটা মিলও দেখেন ওয়াকার। তিনি চাচ্ছেন,
সিলেটে কোচ ও উপদেষ্টা যারা আছেন, তাদের সাথে নিজের চিন্তাটা মিশ্রণ ঘটাতে,
‘ভূমিকা অনেকটাই এক। আমরা বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ পেয়েছি। এহসান ভাই, ফারুক ভাই
আছেন; ওনারা খুবই অভিজ্ঞ। আমরা একসাথে বসে আমাদের ভাবনাগুলো একাকীভূত করে
তা অনুশীলন ও ম্যাচে প্রয়োগের চেষ্টা করি।’
No comments:
Post a Comment