স্বাগতিকদের হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করল কলম্বিয়া…



এসি মিলান স্ট্রাইকার কার্লোস বাক্কার একমাত্র গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান লাভ করেছে কলম্বিয়া। ৩১ মিনিটে বাক্কার গোলে কলম্বিয়া এগিয়ে যায়। কঠিন লড়াইয়ের ম্যাচটিতে পরবর্তীতে আর কোন দলই গোল করতে না পারায় ওই এক গোলেই কলম্বিয়ানদের জয় নিশ্চিত হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে - গোলে বিধ্বস্ত হয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। 

ম্যাচের আধা ঘণ্টায় পিছিয়ে যাবার পরে স্বাগতিকরা লড়াইয়ে ফিরে আসতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। কিন্তু কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনার কাছে কার্যত তাদের নতি স্বীকার করতে হয়েছে। এবারের আসরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত কলম্বিয়ার কাছে পরাজিত হলো যুক্তরাষ্ট্র। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে - গোলে পরাজিত হয়েছিল ইয়র্গেন ক্লিন্সম্যান শিষ্যরা। 

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালে একটি ভাল সুযোগও সৃষ্টি করতে না পারা দলের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ ক্লিন্সম্যান বলেছিলেন, আর্জেন্টাইনদের বিপক্ষে তার দল একটু বেশীই সদয় ছিল। 

তবে আরিজোনাতে যুক্তরাষ্ট্রের গোল করতে না পারাটা সত্যিই দূর্ভাগ্যজনক ছিল। প্রথম সুযোগটা অবশ্য কলম্বিয়ায়ই পেয়েছিল। ১২ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা হামেস রদ্রিগেজের গোল দারুনভাবে রুখে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ড। ৩১ মিনিটে কলম্বিয়ার গোলের মূল কারিগর ছিলেন রদ্রিগেজ। তার বাড়ানো একটি দূর্দান্ত পাসে রাইট ব্যাক সানটিয়াগো আরিয়াসের হেড থেকে বাক্কা গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে দলকে এগিয়ে দেন। এক গোলে পিছিয়ে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেয়। একের পর এক আক্রমণ করে কলম্বিয়াকে ব্যস্ত রাখলেও কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না। জার্মেই জোনস প্রায় সমতা এনেই ফেলেছিলেন। কিন্তু তার জোড়ালো শট আরিয়াসের পায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় অভিজ্ঞ ক্লিন্ট ডিম্পসে কালও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। তবে কোপাতে তিনটি গোল তিনটি এসিস্টকে আর বাড়াতে পারেননি। হামবুর্গের ফরোয়ার্ড ববি উডকে দারুন একটি পাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু উডের শট গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। 
 
দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের হয়ে ম্যাচের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন ডিম্পসে। দারুন এক কার্লিং ফ্রি-কিক থেকে তার নেওয়া শটটি ওসপিনা দারুন দক্ষতায় আটকে না দিলে যুক্তরাষ্ট্র তখনই ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারতো। ম্যাচ শেষে ক্লিন্সম্যান বলেছেন, সব মিলিয়ে তারা দূর্দান্ত খেলেছে। প্রথমার্ধে একটি সুযোগ পেয়ে সেটাই তারা কাজে লাগিয়েছে। বিপরীতে আমরা আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদের অনেক সুযোগ ছিল। খেলোয়াড়রাও জানে আমরা কি ভুল করেছি।
Recent Posts Widget