ভুল পাস আর এলোপাথাড়ি শটে ভরা এক ম্যাচের শেষ দিকে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ালো। তাতেই ক্রোয়েশিয়াকে একমাত্র গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠলো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল।
নির্ধারিত সময়ের
পুরোটা
সময়
জুড়ে
নিজেকে
খুঁজে
ফেরা
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অতিরিক্ত সময়ের
শেষমুহূর্তে জ্বলে
উঠলেন।
তার
জোরালো
শটে
তৈরি
হওয়া
সুযোগ
কাজে
লাগিয়ে
সমর্থদের উল্লাসে ভাসালেন রিকার্দো কারেসমা।
ফ্রান্সের লঁসে
দুদলই
নিজেদের ঘর
সামলে
পাল্টা
আক্রমণে যাওয়ার
প্রচেষ্টায় ছিল।
তাই
খুব
বেশি
সুযোগ
মেলেনি
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বা
লুকা
মদ্রিচদের।
প্রথমার্ধে পরিষ্কার সুযোগ
একটাই।
২৫তম
মিনিটে
পর্তুগালের ডিফেন্ডার রাফায়েল গুয়েরেইরোর ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড
করেন
পেপে।
প্রথমার্ধে এলোমেলো ফুটবল
খেলা
দল
দুটি
দ্বিতীয়ার্ধের নিজেদের গুছিয়ে
নেয়।
কিন্তু
নির্ধারিত সময়ে
কেউই
প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতে
পারেনি।
নিজেদের সেরা
সুযোগটা ৬১তম
মিনিটে
পায়
ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু
ইভান
রাকিতিচের দারুণ
ক্রসে
লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে
ভালো
একটি
সুযোগ
নষ্ট
করেন
ডিফেন্ডার ভিদা।
দুই
মিনিট
পর
প্রতিপক্ষের সীমানায় বল
পেলেও
সমর্থকদের হতাশ
করেন
দেশের
হয়ে
শততম
ম্যাচ
খেলতে
নামা
নানি।
শুরু থেকে
নিজের
ছায়া
হয়ে
থাকা
রোনালদো প্রতিপক্ষের ডি
বক্সে
প্রথম
বলের
ছোঁয়া
পান
৬৫তম
মিনিটে;
কিন্তু
পরক্ষণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে
ফেলেন।
নির্ধারিত সময়ে
তিনি
একা
নন
দুই
দলের
কোনো
খেলোয়াড়ই গোল
বরাবর
শট
নিতে
পারেননি।
এরই মাঝে
দুদলই
ভুলে
যেতে
চাইবে
এমন
একটা
রেকর্ডও হয়েছে;
১৯৮০
সালের
পর
এই
প্রথম
বড়
কোনো
প্রতিযোগিতার কোনো
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে
গোল
বরাবর
কোনো
শট
হয়নি।
১১৩তম মিনিটে
ক্রোয়েশিয়ার আরেকটি
প্রচেষ্টা বিফলে
যায়;
কর্নারে ভিদার
হেড
ক্রসবারের উপর
দিয়ে
যায়।
দুই
মিনিট
পরেই
মিডফিল্ডার ইভান
পেরিসিচের প্রচেষ্টা পোস্টে
লাগে।
এরপরেই প্রতি-আক্রমণে জয়সূচক গোলের দেথা
পায়
পর্তুগাল। নানির
রক্ষণচেরা পাসে
ডান
দিক
থেকে
রোনালদোর নেওয়া
শট
কোনোমতে পা
দিয়ে
ঠেকান
গোলরক্ষক, কিন্তু
বিপদমুক্ত করতে
পারেননি। বিনা
বাধায়
হেডে
বল
জালে
জড়ান
বদলি
মিডফিল্ডার রিকার্দো কারেসমা।
বাকি সময়ে
গোল
পরিশোধের দারুণ
একটি
সুযোগ
পায়
ক্রোয়াটরা; কিন্তু
ভিদার
ভলি
পোস্ট
ঘেষে
চলে
গেলে
টুর্নামেন্ট থেকে
ছিটকে
পড়া
নিশ্চিত হয়ে
যায়
তাদের।
আগামী বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে
পর্তুগাল।