ক্রিকেটর ৪০০
বছরের ইতিহাসে ধারাবাহিকভাবে খেলার
মাঠের জন্য নিয়মের
সংযোজন বিয়োজন চলেছেই। মাত্র
দশটি দেশ টেস্ট
মর্যাদা পেলেও সারাবিশ্বে এই
খেলা নিয়ে আগ্রহের শেষ
নেই।
গত কয়েক বছরে
বাইশ গজের এই
লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে
প্রচুর নিয়ম। এত বছরের
ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া
যায় বেশ কিছু
জটিল নিয়ম। আবার এমন কিছু নিয়ম
রয়েছে যা রীতিমতো অদ্ভুত
এবং মজার। দেখে নিন
সেরকম অদ্ভুত কিছু
নিয়ম:
০১. খেলার
মাঝে যদি বল
হারিয়ে যায়, তা
হলে যে দল
ফিল্ডিং করছে তারা
‘লস্ট বল’এর
আবেদন করতে পারে।
নিয়ম অনুযায়ী তখনই
বল পাল্টে খেলা
শুরু হবে। ব্যাটিং সাইড
দাবি করলে এই
লস্ট বলের জন্য
পেনাল্টি রান দাবি
করতে পারে। এ
ক্ষেত্রে ছয়রান পর্যন্ত ব্যাটিং দল
পেতে পারে।
০২. আম্পায়ার যদি
বোঝেন যে ব্যাটসম্যান আউট
হয়ে গিয়েছেন, সে
ক্ষেত্রেও তিনি তাকে
আউট ঘোষণা করতে
পারবেন না, যত
ক্ষণ না ফিল্ডিং সাইড
আউটের আবেদন করেন।
এমনকী
ব্যাটসম্যান নিজে
চাইলেও বেরিয়ে যেতে
পারবেন না ফিল্ডিং সাইড
আবেদন না করলে।
০৩. ক্রিকেটের এক
বিচিত্র নিয়ম হল
'মানকারেড'। ১৯৪৭ সালে
ভারতের বিনু মানকর
অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে এই
পদ্ধতিতে প্রথম আউট
করেন বলে এই
অদ্ভুত নাম। এই
নিয়মে বোলিং রান
আপ শেষে বোলার
যদি দেখেন নন
স্ট্রাইকার ক্রিজের বাইরে
আছেন, তখন তিনি
নন স্ট্রাইকারের বেল
ভেঙে তাকে আউট
করতে পারেন। এ
ক্ষেত্রে বোলার সফল
না হলে বলটিকে
ডেড বল ঘোষণা
করা হবে।
০৪. কোনও
ক্রিকেটার আহত হলে
তার জায়গায় পরিবর্তে অন্য ক্রিকেটার আনতে
হলে প্রতি ক্ষেত্রে আম্পায়ারকে জানাতেই হবে।
কোনও বার যদি
না জানানো হয়,
তা হলে ব্যাটিং সাইড
পাঁচ রান পেনাল্টি হিসাবে
পাবে।
০৫. কোনও
বোলার বা ব্যাটসম্যান যতক্ষণ
মাঠের বাইরে থাকবেন,
মাঠে ফেরার পর
ততক্ষণই বোলিং বা
ব্যাটিং করতে পারবেন
না। এমনই এক
ঘটনায় ইনিংসের শেষে
দিকে ১৮ মিনিট
মাঠে না থাকায়
দু’টি উইকেট
পড়ে গেলেও শচীন
ব্যাট করতে নামতে
পারেননি।
০৬. উইকেটমুখী বলকে
ব্যাটসম্যান যদি হাত
দিয়ে থামিয়ে দেয়,
তাহলে বিপক্ষ দল
আউটের আবেদন করলে
আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে আউট
দিতে পারেন। যদিও
এই উইকেট বোলারের নামে
যাবে না। ২০০১
সালে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি
টেস্টে বীরেন্দ্র শেভাগ
এমন আবেদন করে
মাইকেল ভনকে প্যাভিলিয়নমুখী করিয়েছিলেন। তখন
মাইকেল ভন ৬৪
রানে ব্যাট করছিলেন। আন্তজার্তিক ক্রিকেটে এই
নিয়ে নয়বার হ্যান্ডলিং বলের
ঘটনা ঘটেছে।
০৭. টেস্টে
একটি নিয়ম চালু
রয়েছে যার নাম
'ফরফেচার'। দুই দলের
অধিনায়ক সম্মত হলে
একটি করে ইনিংস
পুরোটাই ডিক্লেয়ার করতে
পারে দল। এই
নিয়মেই ২০০০ সালে
টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম
দিনে করেছিল ৬
উইকেটে ১৫৫ রান। এরপর তিন
দিন ধরে বৃষ্টি
হয়। প্রথম ইনিংসে
২৪৮ রান করার
পর হ্যান্সি ক্রোনিয়ে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক নাসির
হুসেনকে ফরফেচারে আবেদন
করেন। দুইজনের সম্মতিতে দু’দলই এক
ইনিংস করে ডিক্লেয়ার করে
দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে
২৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে
ব্যাট করতে নামে
দক্ষিণ আফ্রিকা। এই
টেস্টে ইংল্যান্ড জয়ী
হয়। এরপর হ্যান্সি ক্রনিয়েকে অনেক
বিতর্কের মুখে পড়তে
হয়েছিল।
০৮. ব্যাটসম্যান একবার
ব্যাট চালিয়ে ফের
সেই বলকে ইচ্ছাকৃত ভাবে
দ্বিতীয় বার মারলা
তা হলে বিপক্ষ
দলের আবেদনে আম্পায়ার তাকে
আউট দিতে পারেন।
news collect from: kalerkantho