শরীর কিছুটা বাঁকিয়ে দুই হাত দিয়ে বিদ্যুৎ চমকানোর মতো ভঙ্গি! দেখলেই নিশ্চিতভাবে মনে পড়ে যাবে উসাইন বোল্টের কথা। জ্যামাইকান অ্যাথলেটের ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে বিজয় উদযাপনের এই ভঙ্গি। এবারের রিও অলিম্পিকেও বোল্টকে সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে দেখা গেছে বেশ কয়েকবার। বোল্টের এই ভঙ্গি দেখা গেছে ফুটবল মাঠেও। জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে ফ্রি-কিক থেকে গোল করার পর বোল্টের মতো করেই উদযাপনে মেতেছিলেন ব্রাজিলের অধিনায়ক নেইমার।
মারাকানা স্টেডিয়ামে জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে ২৭ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম গোলটি করেছিলেন নেইমার। গোল করেই ছুটে গিয়েছিলেন মাঠের এক প্রান্তে। সতীর্থদের সঙ্গে উষ্ণ আলিঙ্গনের পর নেইমার যেন হয়ে গিয়েছিলেন উসাইন বোল্ট। ঠিক বোল্টের মতো করেই দুই হাত দিয়ে করেছেন বিদ্যুৎ চমকানোর ভঙ্গি। মজার ব্যাপার হলো, বোল্ট নিজেও সে সময় উপস্থিত ছিলেন মারাকানা স্টেডিয়ামে। দেখছিলেন নেইমারদের খেলা। সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেটকে সম্মান জানানোর জন্যই হয়তো এমন ভঙ্গিতে উদযাপন করেছিলেন নেইমার।
প্রথম গোলটি করার সময়ও নেইমার জানতেন না যে, ম্যাচ শেষে স্বর্ণপদকটি গলায় ঝোলাতে পারবেন কি না। বোল্টের মতো পাবেন কি না স্বর্ণ জয়ের স্বাদ। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে অবশ্য হতাশ হতে হয়নি ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানের জয় দিয়ে ঠিকই মেতে উঠেছেন স্বর্ণ জয়ের উল্লাসে। ফলাফল নির্ধারণী শেষ পেনাল্টি থেকে গোল করার পর অবশ্য আর বোল্টের ভঙ্গিতে দেখা যায়নি নেইমারকে। ম্যাচ শেষে তাঁর চোখে ছিল আনন্দের অশ্রু। পরে স্বর্ণপদকটি যেভাবে কামড়ে ধরেছিলেন, তাতে খুব ভালোমতোই বোঝা গেছে যে কতটা ক্ষুধার্থ ছিলেন এই কাঙ্ক্ষিত পদকটির জন্য।