ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জিতল পাকিস্তান

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরের সপ্তম ম্যাচে বুধবার এজবাস্টনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১৯ রানে জিতল পাকিস্তান।দক্ষিণ আফ্রিকার  ২১৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭ ওভারে  ৩ উইকেটে পাকিস্তানের  সংগ্রহ যখন ১১৯ তখন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়ম অনুযায়ী, ১৯ রানে ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। ২৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হাসান আলি।
 
বার্মিংহামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাট হাতে শুরু থেকে পাকিস্তানের বোলারদের ভালোভাবেই সামাল দেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। ৫০ বল মোকাবেলা করে ৪০ রান তুলেন তারা। দুই পেসার উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে স্পিনারদের আক্রমণ নিয়ে আনে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আর সেই পরিকল্পনাই কাজে দেয়।
 
আমলাকে ১৬ রানে থামিয়ে দেয়ার পর প্রোটিয়া দলপতি ডি ভিলিয়ার্সকে শূন্য রানে থামিয়ে দেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। অন্য প্রান্ত দিয়ে ডি কককে তুলেন অফ-স্পিনার মোহাম্মদ হাফিজ। ৩৩ রান করেন ডি কক। এতে ৩ উইকেটে ৬১ রানে পরিণত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
 
সেখান থেকে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন ফাফ ডু-প্লেসিস। কিন্তু এই জুটিকে ২৯ রানের বেশি করতে দেননি পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী। ডু-প্লেসিসকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে শিকার করে আবারো পাকিস্তানকে উইকেট শিকারের আনন্দে ভাসান হাসান।
 
এছাড়া ২৯তম ওভারের শেষ দু’বলে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যান জেপি ডুমিনি ও ওয়েন পার্নেলকে শিকার করেন হাসান। ডুমিনি ৮ ও পার্নেল শূন্য রানে ফিরেন। ফলে দেড়শ’র নীচেই গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
 
কিন্তু সেটি হতে দেননি কিলারখ্যাত ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। সপ্তম উইকেটে ক্রিস মরিসের সাথে ৮১ বলে ৪৭ ও অষ্টম উইকেটে রাবাদার সঙ্গে ৩৯ বলে ৪৮ রান যোগ করেন মিলার। ফলে দুশ’র কোটা পেরিয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৯ রানে মামুলি সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
 
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। তার ১০৪ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ১টি চার ছিলো। এছাড়া মরিস ২৮ ও রাবাদা ২৬ রান করেন। পাকিস্তানের হাসান আলী ৩টি ও জুনায়েদ-ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নেন।
 
২১৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানও কিছুটা চাপের মুখে পড়ে। ৪১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে গেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ২০ ওভারে  ২ উইকেটে ৭৬ । পরে ২৭ ওভারে  ৩ উইকেটে পাকিস্তানের  সংগ্রহ যখন ১১৯ তখন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
 
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২১৯/৮, ৫০ ওভার (মিলার ৭৫*, কক ৩৩, হাসান ৩/২৪)।
 
পাকিস্তান: ১১৯/৩, ২৭ ওভার(জামান ৩১, হাফিজ ২৬, মরকেল ১৮/৩)।
 
ফল : পাকিস্তান ১৯ রানে জয়ী।

No comments:

Post a Comment

Recent Posts Widget