টেস্ট
ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো পেসার শেষ কবে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন? স্মৃতির
পরীক্ষা নিয়ে চটজলদি কেউই হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। সাহায্য
নিতে হবে পরিসংখ্যানের পাতার। কারণ টেস্টে বরাবরই স্পিনারদের ছায়া হয়ে
খেলছেন পেসাররা। ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৫ রানে পাঁচ
উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। দেশের মাটিতে সর্বশেষ সেরা বোলিং মুস্তাফিজুর
রহমানের। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৭ রানে চার উইকেট পেয়েছিলেন
বাঁহাতি এ পেসার।
দুই
ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। এই
সিরিজেও পেসাররা বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবেন কিনা বলা কঠিন। তবে জাতীয়
দলের পেসার শফিউল ইসলাম বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত
পেস বোলাররা।
শফিউল
ছাড়া পেসারদের মধ্যে জাতীয় দলের চলমান ক্যাম্পে রয়েছেন মুস্তাফিজ, তাসকিন
আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি, রুবেল হোসেন, শুভাশীষ রায়। একাদশে হয়তো দুজন
পেসারই সুযোগ পাবেন। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের চ্যালেঞ্জটা
নিতে হবে তাদেরকেও। স্মিথ, ওয়ার্নারদের জন্য পরিকল্পনা থাকছে শফিউলদের।
গতকাল
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে ডানহাতি এ পেসার বলেছেন,
‘পকিল্পনাতো অবশ্যই থাকে। ভালো বল যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই ভালো বল।
স্মিথ কিংবা ওয়ার্নারসহ যারাই আছে তাদের বিপক্ষে আমাদের পেসাররা লড়াই করতে
প্রস্তুত।’
ক্যারিয়ারে
নয় টেস্টে ১৫ উইকেট নিয়েছেন শফিউল। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের
বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে। এবার দলের প্রত্যাশা পূরণের আশা করছেন তিনি। শফিউল
বলেন, ‘সব সময়ই ভালো করার ইচ্ছে নিয়ে মাঠে নামি। এবার সুযোগ পেলে অবশ্যই
লক্ষ্য থাকবে দলে নিয়মিত হওয়া। দলে আমাকে যে জন্য নেবে সেই প্রত্যাশাটা
পূরণ করতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা শক্তভাবে দলে ফিরতে চাই।’
সতীর্থ
পেসারদের নিয়েও দারুণ আত্মবিশ্বাসী শফিউল। সম্প্রতি বল হাতে ভালো ফর্মে
আছেন তিনি। চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৭ রানে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করছেন জানিয়ে ২৭ বছর বয়সী এ পেসার বলেন, ‘আসলে আমি
আমার কাজ করে যাচ্ছি। অনুশীলনে নেটে, প্রস্তুতি ম্যাচে সব জায়গাতেই আমি
আমার কাজটা ঠিকমতো করে যাচ্ছি। জাতীয় দলে থাকব কিনা বিষয়গুলোতো আমার হাতে
নেই। এটা ম্যানেজম্যান্ট ভালো বলতে পারবে। তারা যাকে ভালো মনে করবে তাকে
খেলাবে। আমি শুধু চেষ্টা করে যেতে পারি।’
ফিটনেসের
জায়গা থেকেও এখন ভালো অবস্থানে আছেন শফিউল। কিন্তু গত দুই বছরে অনেকবার
ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুযোগ পেলে সামর্থ্যের
সেরাটা দিতে চান তিনি। বগুড়ার এ ক্রিকেটার বলেন, ‘আমিও ইনজুরির বিষয়টি নিয়ে
অনেক উদ্বিগ্ন। যখনই আমি দলে ফিরেছি একটা না একটা ইনজুরিতে পড়েই যাচ্ছি।
আসলে এখানে আমার কিছুই করার নেই। চেষ্টা করছি ইনজুরি থেকে দূরে থাকতে।
কিন্তু পারছি না। এই মুহূর্তে আমি সম্পূর্ণ ফিট, আশা করি এবার সুযোগ পেলে
সামর্থ্যের পুরোটা দিতে পারব।
গতকাল
অনুশীলনেও পেসারদের নিয়ে আলাদা কাজ করেছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
আলাদাভাবে সবার সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। শফিউলের মতে, অস্ট্রেলিয়ার
বিরুদ্ধে পেসারদের দায়িত্ব নিতে হবে। বল হাতে হতে হবে আক্রমণাত্মক। জায়গা
মতো বোলিং করে উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
No comments:
Post a Comment