গত
মার্চে ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় মাথায়
নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ। তাতে করে বাংলাদেশের
বোলিং অ্যাটাক অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাই বিশ্বকাপ শেষে গত
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের বোলারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ঢাকা
প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলা ১১ জন বোলার সন্দেজনক বোলিং অ্যাকশনের
কারণে অভিযুক্ত হন। তবে তাসকিন আবাহনীর হয়ে খেললেও সন্দেহজনকের তালিকায়
ছিলেন না।
ঈদের
আগে মাহবুবুল জাকি’র তত্ত্বাবধানে ডানহাতি এই পেসারের
পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ঈদের কারণে বেশ
কিছুদিন বিরতি ছিল এই পুনর্বাসন
প্রক্রিয়ায়। ঈদের পর আবার শুরু হয়
তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করার
প্রক্রিয়া। রোববার মিরপুর স্টেডিয়ামে
বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির সদস্য ওমর খালেদ রুমি। খালি চোখে তাসকিনের বোলিং
অ্যাকশন দেখে কোনো সমস্যা মনে হয়নি
তার।
‘যাহোক, আজকে যা দেখলাম, একদম
পারফেক্ট। বাউন্সারে সমস্যা ছিল বলা হচ্ছে, আজকে দেখলাম নির্মল, একেবারে
সুন্দর। কোনো সমস্যা দেখছি না। মাঠে নামলেও কোনো সমস্যা থাকবে বলে মনে হয়
না।’
ভিডিও
ধারণের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিসিবি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)
ম্যানেজার নাসির আহমেদ নাসু। জাতীয় দলের দীর্ঘ দিনের এই কম্পিউটার অ্যানালিস্ট
জানালেন, চূড়ান্ত বোলিং পরীক্ষার আগে পরখ করে নিতেই এই ভিডিও ধারণের
আয়োজন।
এ
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন রিহ্যাবের পর আজকে আমরা
প্রফেশনাল ভাবে ওর ফুটেজ নিলাম। এগুলো আমরা বিশ্লেষণ
করব। বোলিং টেস্টের জন্য পাঠানোর আগে দেখে নিচ্ছি কি অবস্থা। যে সমস্ত
রিহ্যাব করা হয়েছে, সেগুলো দেখে নিচ্ছি কি
অবস্থায় আছে। ফুটেজগুলো যাচাই করে আমরা বুঝতে পারব আবার পরীক্ষার দরকার আছে
কিনা।’
তবে
এখনই অবশ্য বোলিং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত মনে করা হচ্ছে না তাসকিনকে।
ভিডিও বিশ্লেষণের পর আরো কিছুটা কাজ করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ
বিষয়টি প্রসঙ্গে ওমর খালেদ রুমি বলেন, ‘অ্যাসেসমেন্ট করতে সময় লাগবে। ফুটেজগুলো
দেখতে হবে। একবার দেখলে হবে না, বারবার দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা। খালি
চোখে তাসকিনের সমস্যা দেখছি না। বাকিটা অ্যাসেসমেন্ট করে বোঝা যাবে। মনে
হয় না অ্যাসেসমেন্টেও সমস্যা ধরা পড়বে।
বাংলামেইল২৪ডটকম/এসএম/জেডআই