বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেট দেখেই যেন চোখ চকচক করে উঠল তাসকিন আহমেদের। পেস বোলিংয়ের জন্য আদর্শ উইকেট। সব ঠিক থাকলে
ওয়েলিংটনের এ মাঠেই স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে তাসকিনের। অভিষেক টেস্ট নিয়ে
রোমাঞ্চ সবারই থাকে। তাসকিনেরও আছে। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টেই ২১ বছর বয়সী এ
পেসারের অভিষেক প্রায় নিশ্চিত।
কাল ওয়েলিংটন থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, বেসিন রিজার্ভে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে তাসকিনই ছিলেন মধ্যমণি। অনুশীলনে গা গরমের সময় হাসছিলেন। নেটে বোলিং করার সময় বোলিং কোচ কী কী সব বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি মনোযোগী হয়ে শুনছেন, আবার থেকে থেকেই হাসছেন। তাসকিনের মুখে শুধু হাসি আর হাসি।
তাসকিন হাসছেন। তাকে নিয়ে সতীর্থরাও হাসছেন। বাংলাদেশের অনুশীলনে হাসির ফোয়ারা। সেই ফোয়ারার উৎস কোথায়? তাসকিন জানালেন, “দলের সবাই এখন আমাকে দেখছে আর হাসছে, ‘কী রে, টেস্ট খেলবি!’ সবাই হেসে হেসে বলছে। আমারও ভালো লাগছে, কারণ স্বপ্ন পূরণ
হচ্ছে। সতীর্থরা সবাই উৎসাহ দিচ্ছে। কোচরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন। সবাই অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।”
তাসকিনের হাসি স্বপ্ন সত্যি হতে চলার হাসি।
তাকে টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয়েছে খেলানোর জন্যই। সবুজ ২২ গজের মঞ্চ পস্তুত। বৃহস্পতিবার বেসিন রিজার্ভে তাসকিনের মাথায় উঠছে টেস্ট ক্যাপ। ২১ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার ডুবে আছেন রোমাঞ্চে, ‘সত্যি কথা বলতে, টেস্ট অভিষেক হলে সেটি হবে স্বপ্ন পূরণের মতো। গত আড়াই বছরে যত আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেছি, সব সময় দেখা যেত টি ২০ বা ওয়ানডে সিরিজ শেষ হলে আমি চলে যেতাম। এবার থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেব। আমার স্বপ্ন পূরণ হবে খেলতে পারলে।’
২৩ ওয়ানডে ও ১৪ টি ২০ খেলেছেন। তবে টেস্ট দলের একজন হয়ে টেস্টের অনুশীলনে এটিই ছিল তার প্রথম দিন।
সেই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই সম্ভাবনা দেখে তাসকিনের পেছনে বিনিয়োগ করছে বিসিবি। তার শারীরিক গঠন, তার সহজাত গতি ও আগ্রাসন, তার প্রতিভা, সবকিছুই সাহস জুগিয়েছে বিনিয়োগ করতে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগেই বড় একটা স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের ধাক্কা কাটিয়ে এসেছেন। লম্বা সময় ধরে সময় নিয়ে তাকে ফিট করে তোলা হয়েছে। শক্তপোক্ত করা হয়েছে। গতি বাড়ানো হয়েছে। নিবিড়ভাবে কাজ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আজকের মঞ্চের জন্য।
প্রক্রিয়াটা পেরিয়ে এসেছেন বলেই তাসকিন জানেন কত সাধনার ফসল তিনি। কণ্ঠে থাকল সেই কৃতজ্ঞতাও, ‘টেস্টে সুযোগ পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিসিবি থেকে, দলের সাপোর্ট স্টাফ অনেক সাহায্য করেছেন সবাই। আমার জন্য আলাদা প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল, সেই প্রোগ্রাম অনুযায়ী ট্রেনিং করেছি। গত দেড়-দু’বছরে আস্তে আস্তে বোলিং ওয়ার্ক লোড বাড়িয়েছি। প্রস্তুত বলেই এখন খেলতে যাচ্ছি।’
রোমাঞ্চের শিহরণের পাশাপাশি সংশয়ের চোরকাঁটাও আছে। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ১০টি। শেষটি সেই ২০১৩ সালে। তো টেস্টের দাবিটা মেটাতে পারবেন তো তাসকিন? তার নিজের অবশ্য কোনো সংশয়ই নেই, ‘নেটে এমনও দিন হয়েছে যে কয়েকটা স্পেলে ১২-১৫ ওভার বোলিং করেছি। নতুন বলে, পুরনো বলে। আরও কিছু কিছু কাজ করছি। লাল বলে সুইং করানো চেষ্টা করছি, শিখছি। ফিটনেসের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো বলেই টেস্ট খেলতে যাচ্ছি। এক ম্যাচ খেলেই থেমে যেতে চাই না। নিয়মিত খেলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, টেস্ট খেলতে খেলতেই আমি আরও শক্তপোক্ত হব।’
কাল ওয়েলিংটন থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, বেসিন রিজার্ভে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে তাসকিনই ছিলেন মধ্যমণি। অনুশীলনে গা গরমের সময় হাসছিলেন। নেটে বোলিং করার সময় বোলিং কোচ কী কী সব বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি মনোযোগী হয়ে শুনছেন, আবার থেকে থেকেই হাসছেন। তাসকিনের মুখে শুধু হাসি আর হাসি।
তাসকিন হাসছেন। তাকে নিয়ে সতীর্থরাও হাসছেন। বাংলাদেশের অনুশীলনে হাসির ফোয়ারা। সেই ফোয়ারার উৎস কোথায়? তাসকিন জানালেন, “দলের সবাই এখন আমাকে দেখছে আর হাসছে, ‘কী রে, টেস্ট খেলবি!’ সবাই হেসে হেসে বলছে। আমারও ভালো লাগছে, কারণ স্বপ্ন পূরণ
হচ্ছে। সতীর্থরা সবাই উৎসাহ দিচ্ছে। কোচরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন। সবাই অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।”
তাসকিনের হাসি স্বপ্ন সত্যি হতে চলার হাসি।
তাকে টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয়েছে খেলানোর জন্যই। সবুজ ২২ গজের মঞ্চ পস্তুত। বৃহস্পতিবার বেসিন রিজার্ভে তাসকিনের মাথায় উঠছে টেস্ট ক্যাপ। ২১ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার ডুবে আছেন রোমাঞ্চে, ‘সত্যি কথা বলতে, টেস্ট অভিষেক হলে সেটি হবে স্বপ্ন পূরণের মতো। গত আড়াই বছরে যত আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেছি, সব সময় দেখা যেত টি ২০ বা ওয়ানডে সিরিজ শেষ হলে আমি চলে যেতাম। এবার থাকার সৌভাগ্য হয়েছে। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেব। আমার স্বপ্ন পূরণ হবে খেলতে পারলে।’
২৩ ওয়ানডে ও ১৪ টি ২০ খেলেছেন। তবে টেস্ট দলের একজন হয়ে টেস্টের অনুশীলনে এটিই ছিল তার প্রথম দিন।
সেই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই সম্ভাবনা দেখে তাসকিনের পেছনে বিনিয়োগ করছে বিসিবি। তার শারীরিক গঠন, তার সহজাত গতি ও আগ্রাসন, তার প্রতিভা, সবকিছুই সাহস জুগিয়েছে বিনিয়োগ করতে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগেই বড় একটা স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের ধাক্কা কাটিয়ে এসেছেন। লম্বা সময় ধরে সময় নিয়ে তাকে ফিট করে তোলা হয়েছে। শক্তপোক্ত করা হয়েছে। গতি বাড়ানো হয়েছে। নিবিড়ভাবে কাজ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে আজকের মঞ্চের জন্য।
প্রক্রিয়াটা পেরিয়ে এসেছেন বলেই তাসকিন জানেন কত সাধনার ফসল তিনি। কণ্ঠে থাকল সেই কৃতজ্ঞতাও, ‘টেস্টে সুযোগ পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিসিবি থেকে, দলের সাপোর্ট স্টাফ অনেক সাহায্য করেছেন সবাই। আমার জন্য আলাদা প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল, সেই প্রোগ্রাম অনুযায়ী ট্রেনিং করেছি। গত দেড়-দু’বছরে আস্তে আস্তে বোলিং ওয়ার্ক লোড বাড়িয়েছি। প্রস্তুত বলেই এখন খেলতে যাচ্ছি।’
রোমাঞ্চের শিহরণের পাশাপাশি সংশয়ের চোরকাঁটাও আছে। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ১০টি। শেষটি সেই ২০১৩ সালে। তো টেস্টের দাবিটা মেটাতে পারবেন তো তাসকিন? তার নিজের অবশ্য কোনো সংশয়ই নেই, ‘নেটে এমনও দিন হয়েছে যে কয়েকটা স্পেলে ১২-১৫ ওভার বোলিং করেছি। নতুন বলে, পুরনো বলে। আরও কিছু কিছু কাজ করছি। লাল বলে সুইং করানো চেষ্টা করছি, শিখছি। ফিটনেসের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো বলেই টেস্ট খেলতে যাচ্ছি। এক ম্যাচ খেলেই থেমে যেতে চাই না। নিয়মিত খেলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, টেস্ট খেলতে খেলতেই আমি আরও শক্তপোক্ত হব।’
No comments:
Post a Comment