তামিমের ক্যাচ নিয়ে নিশ্চিত বাংলাদেশ

তাৎক্ষণিকভাবেই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে তামিম ইকবালের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা গিয়েছিলো, তারা এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও পরিষ্কার করে বলে গেলেন, তারা মনে করেন, মরগ্যানের ক্যাচটি ঠিকমতোই ধরেছিলেন তামিম। তামিম এ ব্যাপারে আরও পরিষ্কার করেই মনোভাব জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনও ক্যাচটির ভিডিও দেখিনি। তবে আমি এখনো নিশ্চিত, ক্যাচটি ঠিক ছিল। মাঠের আম্পায়ার সফট সিগন্যাল নট আউট দেওয়ার কারণেই হয়ত শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত টিকে গেছে। ফিল্ডার হিসেবে আমার মনে হয়েছে, আমি ঠিকঠাক নিয়েছিলাম।’
 
মরগ্যান তখন খেলছিলেন ২২ রানে। ইংল্যান্ড তখনও শক্ত অবস্থানে, তবে একেবারে শেষ হয়নি বাংলাদেশের আশা। মাশরাফির বলে লং অনে সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিলেন তামিম। ইঙ্গিত করে বারবার দেখাচ্ছিলেন, ক্যাচটি পরিষ্কার নিয়েছেন। মরগ্যান ঠায় দাঁড়িয়ে। সিদ্ধান্ত গেল তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। মাঠের দুই আম্পায়ার আলোচনার পর সুন্দরম রবি সফট সিগন্যাল দিলেন নট আউট। টিভি রিপ্লেতে পেছন থেকে দেখে মনে হচ্ছিলো আউট। সামনে থেকে দেখানোর পর অবশ্য একটু সংশয় জেগেছে।
 
সেটি দেখেই ক্যাচটি বাতিল করে দেন তৃতীয় আম্পায়ার। মাশরাফি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছেন। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, আরেকটু সময় নিয়ে আরো ভালো করে দেখতে পারতেন তৃতীয় আম্পায়ার, ‘তামিম পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল যে ওটা ক্যাচ হয়েছে। কিন্তু আম্পায়াররা হয়ত আরো ভালো দেখেছে। তবে মাঠে যে ফিল্ডার থাকে, তার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে এখনো পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে ওটা ক্যাচ ছিল। হয়ত আরেকটু ক্লোজ করে দেখলে ভালো হতো। সিদ্ধান্তটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে কিনা জানি না। যেহেতু ফিল্ডার বলছিল, সেক্ষেত্রে আরো ক্লোজ করে দেখলে হয়ত আরো ভালো বোঝা যেতো।’
 
তখনো ওভারপ্রতি প্রায় ৭ রান করে প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। অধিনায়কের মতে, মরগ্যান তখন আউট হলে সম্ভাবনা টিকে থাকত বাংলাদেশের, ‘ওভার প্রতি সাত করে লাগতো। একটি উইকেট পড়লে, তখন কিছু ডট বল হতো। হয়ত রান তখন ওভারপ্রতি ৮-৯ লাগতো, চাপে উইকেট পড়তে পারতো। অবশ্যই আমরা ভালো বল করিনি। তবে ওই সময় মরগ্যান আউট হলে হতে পারতো অনেক কিছুই।’
 
ইত্তেফাক

No comments:

Post a Comment

Recent Posts Widget