আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটের পাঠ চুকিয়েছেন বছর দুই আগে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের জীবন্ত
কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মধুর সময়ের, গৌরবের উৎস
হয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে ঢাকায় আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ছিলেন
শ্রীলঙ্কার হয়ে। প্রায় দুই যুগের বর্ণিল ক্যারিয়ারে এটাই মাহেলার একমাত্র
বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জয়ের ঘটনা।
তাই
বাংলাদেশ সবসময় তার কাছে আলাদাভাবে ঠাঁই পায়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের
আগামী আসরে খুলনা টাইটান্সের কোচ হিসেবে কাজ করবেন জয়াবর্ধনে। দুই বছরের
জন্য খুলনা টাইটান্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। গতকাল রাজধানীর এক
অভিজাত হোটেলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এ লঙ্কান ক্রিকেটার
জানালেন, বাংলাদেশ অনেক কারণেই তার হৃদয়ে ঠাঁই পেয়েছে। ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কা
‘এ’ দলের হয়ে খেলতে এসেছিলেন বাংলাদেশে। দেশের বাইরে সেটিই ক্রিকেটার
জয়াবর্ধনের প্রথম সফর ও বড় ব্রেক থ্রু ছিল।
বাংলাদেশ
আগেই মন জয় করে নিয়েছে জানিয়ে সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘খুলনা
টাইটান্সের অংশ হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এখানে আসা বরাবরই আনন্দের। তাছাড়া
বাংলাদেশ অনেক আগেই আমার মন জয় করে নিয়েছে। আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর
ছিল এই বাংলাদেশেই। ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে আমি এখানে খেলতে আসি।
এরপর অনেকবার এসেছি। বিশ্বকাপ জিতে ছিলাম (২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ)। সবমিলিয়ে পরিবেশটা নিজের বাড়ির মতো মনে হয়েছিল।’
নিজের
ক্যারিয়ারে অনেকবারই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলেছেন জয়াবর্ধনে। সাম্প্রতিক
সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের উন্নতিতেও চোখ রয়েছে এ লঙ্কানের।
বিশেষ করে প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেসহ বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে
কয়েকজন শ্রীলঙ্কান রয়েছেন বলে খুশি জয়াবর্ধনে। গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
বাংলাদেশের উন্নতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই অনেক বড় উন্নতি
হয়েছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। গত ছয় বছর ধরে তারা
অনেক ধারাবাহিক। কারণ তাদের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একটা গ্রুপ আছে যারা
লম্বা সময় এক সঙ্গে খেলছে। তরুণ ক্রিকেটাররাও বেশ ধারাবাহিক। বড় রহস্য হলো
শ্রীলঙ্কান কোচিং স্টাফ থাকা (হাসি), এটা অনেক বড় পার্থক্য গড়েছে। আমরা এর
জন্য কিছুটা কৃতিত্ব নেব।’
No comments:
Post a Comment