এর আগে দুবার নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
এবারের সফরের শুরুটাও হার দিয়েই করতে হলো মাশরাফি বাহিনীকে। ওয়ানডে
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেল ৭৭ রানের ব্যবধানে। ৩৪২ রানের
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ ওভারের মধ্যেই ২৬৪ রানে গুটিয়ে গেছে
বাংলাদেশের ইনিংস।
ইনিংসের ৩৯তম ওভারে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। সে সময়
তিনি ব্যাট করছিলেন ৪২ রান নিয়ে। স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে না
যেতে হলে হয়তো বাংলাদেশের হারের ব্যবধানটা আরো কমে আসত।
ক্রাইস্টচার্চে শুরুতে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড গড়েছিল ৩৪১ রানের
পাহাড়। এই মাঠে এটাই সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। জিততে হলে বাংলাদেশকেও গড়তে
হতো নতুন রেকর্ড। কিন্তু পুরো ইনিংসের কোনো সময়ই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে
পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ১২ ওভারেই সাজঘরে ফিরেছিলেন ইমরুল
কায়েস, সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। অনেকটাই ব্যাটফুটে চলে গিয়েছিল
মাশরাফির দল।
কিছু সময় প্রায় একাই লড়াই করছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ১৮তম ওভারে ৩৮
রান করে তামিমও ধরেন সাজঘরের পথ। তামিমের পর ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন
সাকিব আল হাসান। খেলেছিলেন ৫৪ বলে ৫৯ রানের লড়াকু ইনিংস। এটাই বাংলাদেশের
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ২৯তম ওভারে সাকিব সাজঘরে ফেরার পরেই প্রায়
নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের হার। খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি
সাব্বির রহমানও। একটি ছয় মেরে করেছিলেন ১১ বলে ১৬ রান। কিন্তু সেখানেই
তাঁকে থামিয়ে দেন লোকি ফার্গুসন। সপ্তম উইকেটে ৫২ রানের লড়াকু জুটি
গড়েছিলেন মুশফিক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
৩৯তম ওভারে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। ৪৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে
অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মোসাদ্দেকও শেষপর্যন্ত অপরাজিত
ছিলেন ৫০ রান করে। কিন্তু যোগ্য সঙ্গ পাননি সতীর্থদের কাছ থেকে। নিজে এক
প্রান্ত আঁকড়ে পড়ে থাকলেও অপর প্রান্তে মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাসকিন আহমেদ,
মুস্তাফিজরা ঠিকই ধরেছেন সাজঘরের পথ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টম লাথামের ১৩৭ ও কলিন মুনরোর ৮৭ রানের
ঝড়ো ইনিংস দুটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৩৪১ রান জমা করেছে স্বাগতিক
নিউজিল্যান্ড। ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ৬৯
রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব।
No comments:
Post a Comment