ওপেনার
হিসেবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলেন ইমরুল কায়েস। তিন ফরম্যাটেই
তামিম ইকবালের সঙ্গী হয়ে খেলেছেন লম্বা সময়। তবে গত কয়েক বছরে পরিবর্তিত
ব্যাটিং অর্ডারেও খেলতে হয়েছে তাকে। এক ধাপ নীচে তথা তিন নম্বরে খেলেছেন
সর্বশেষ দুটি ওয়ানডে, একটি টেস্ট। ওয়ানডে, টেস্টে এ দুটি পজিশনের বাইরে
খেলেননি তিনি। তবে টি-টোয়েন্টিতে চারে ব্যাট করার অভিজ্ঞতাও আছে ৩০ বছর
বয়সী এ ক্রিকেটারের।
আর স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত ব্যাটিং অর্ডারে স্বাচ্ছন্দ্য নন ইমরুল। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিম সেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
ওপেনার
হলেও বদলে যাওয়া ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাট করার বিষয়টি জানতে চাইলে ইমরুল
বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র আমার না, এটা প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রেই হয়। আমি
একটা উদাহরণ দেই, ধরেন আপনি অফিসে গেলেন, গিয়ে দেখলেন আপনার ডেস্কটা বদলে
গেছে, তাহলে আপনার কেমন লাগবে? অস্বস্তি লাগবে। একইভাবে শুধু ক্রিকেট না সব
কিছুতেই এটা ভালো খারাপ একটা সমস্যা থাকেই।’
আয়ারল্যান্ডে
ত্রিদেশীয় সিরিজের কোনো ম্যাচেই সুযোগ পাননি ইমরুল। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফিতে দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিন নম্বরে। ক্যারিয়ার জুড়ে ৬৭ ওয়ানডেতে নয়টি
ম্যাচে এ পজিশনে খেলেছেন তিনি। বাকি সবই ওপেনিংয়ে। দুই সেঞ্চুরিও ওপেনার
হিসেবেই পেয়েছেন।
টেস্ট
ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের বাইরে তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন তিনটি ম্যাচে। ২০১৪
সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনে খেলেছেন
ইমরুল। দুটি ম্যাচেই ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী ছিলেন শামসুর রহমান। সর্বশেষ
বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনে খেলেছেন এ ওপেনার। সফলতা
পাননি। তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেছিলেন সৌম্য সরকার। অবশ্য টেস্টে
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ইমরুল তিনে ব্যাট করেই। ২০১৪ সালে
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৫ রান করেছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার
বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের সিরিজেও ভালো কিছু করতে চান এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
ইমরুল বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে আমাদের তিন সপ্তাহের ক্যাম্প আছে।
এটা ফিটনেসের জন্য আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের সবারই ভালো করার একটা লক্ষ্য রয়েছে। আমারও
ব্যক্তিগতভাবে ভালো করার ইচ্ছা আছে।’
ঘরের
মাঠে সর্বশেষ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ। যে ম্যাচের
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল। বড় দলের বিরুদ্ধে ভালো
ইনিংস আত্মবিশ্বাস যোগায়। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো শুরু করতে চান
তিনি। বললেন, ‘প্রত্যেকটা ইনিংস কিংবা শেষ ভালো খেলা আপনাকে আত্মবিশ্বাস
দিয়ে থাকে। বড় দলের বিপক্ষে ভালো খেললে আপনার আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবেই।
নির্ভর করবে আপনি সিরিজে শুরুটা কেমন করছেন। ভালো শুরুর উপরে অনেক কিছু
নির্ভর করে।’
No comments:
Post a Comment