বাংলাদেশের শততম জয়ে ইতিহাসে তামিম

বাংলাদশের হয়ে তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস তাঁর, সর্বাধিক রান সংগ্রাহকও বাঁ হাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। কোনও দেশের হয়ে এমন রেকর্ড নেই কোনও ব্যাটসম্যানের।   বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার আগে পেয়েছেন হাজারি ক্লাবের সদস্যপদ।  এই তিন তিনটি রেকর্ড গড়েছেন বছরই তামিম। ৪২ টেস্টে সেঞ্চুরির পাশে ১৫৫ ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরি, ৫২ টি২০তে সেখানে সেঞ্চুরি একটি।  রান সংগ্রহে পিছন থেকে বন্ধু সাকিবকে একটার পর একটা ভার্সনে রানে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। লড়াইটা ছিল ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে।  ১৫৬তম ওয়ানডে ম্যাচে সপ্তম সেঞ্চুরি (১১৮উপহার দিয়ে সাকিবের সেঞ্চুরিকে টপকে গেলেন তামিম।  পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে -০তে হোয়াইট ওয়াশের এই নায়ককে পরবর্তী সেঞ্চুরি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১২ ইনিংস। সময়ের হিসেবে ১৭ মাস ১১দিন! বাংলাদেশের সেঞ্চুরি জয়ের ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরিবাংলাদেশের সেঞ্চুরি জয়ের ম্যাচে ম্যাচ সেরা এবং সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছেন তামিম। এমন বিরল রেকর্ডও দেখল বিশ্ব।
 
৩১৫তম ম্যাচে এসে ওয়ানডে জয়ের সেঞ্চুরি পূর্ন করল বাংলাদেশ। সময়ের হিসেবে ৩০ বছর মাস। হায়দরাবাদের লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ সালে প্রথম জয় পেতে বাংলাদেশের অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৩তম ম্যাচ পর্যন্ত। প্রথম ১০০ ম্যাচে জয়ের সমস্টি মাত্র ৬টি, সময়ের হিসেবে এই জয় পেতে বাংলাদেশকে পার করতে হয়েছে ১৮ বছরেরও বেশি। সেই বাংলাদেশের ওয়ানডে সাফল্যে অন্য এক উচ্চতায় উঠে আসার গল্পটা রচিত হয়েছে পরবর্তী এক যুগে। দ্বিতীয় ১০০ ম্যাচে ৪০, তৃতীয় ১০০ ম্যাচে ৪২ জয়ের পর সর্বশেষ ১৫ ম্যাচে ১২টি জয়ে সেঞ্চুরি পূর্ন করেছে বাংলাদেশ।

 শততম জয়ের ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ডে এতদিন ছিলেন শুধুই নিউজিল্যান্ড লিজেন্ডার মার্টিন ক্রো। ১৯৯৫ সালে জামসেদপুরে ভারতের বিপক্ষে তার ১০৭ রানের হার না মানা  ইনিংসে ভর করেই শততম জয়ের উৎসব করেছে নিউজিল্যান্ড।  শনিবার রাতে শের--বাংলা স্টেডিয়ামে মার্টিন ক্রোকে কে ছুঁলেন তামিম। শততম জয়ের ম্যাচে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশ দলের ( ১৪১ রানে) ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিডনিতে দেশের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার  শততম জয়টি ছিল ৪৮ রানের। শততম জয়ের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কেউ করতে পারেনি ২৫০ রান। ১৯৯৫ সালে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ২৩৬/১০ স্কোরই ছিল সর্বোচ্চ।  সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৯/৮।  শততম জয় উদ্যাপনের রেকর্ডে বাংলাদেশ শুধু টপকে যেতে পেরেছে জিম্বাবোয়েকে। জিম্বাবোয়ের যেখানে লেগেছে ৩৭৯ টি ম্যাচ, সেখানে বাংলাদেশ ৩১৫তম ম্যাচে পেয়েছে জয়ের সেঞ্চুরি।

No comments:

Post a Comment

Recent Posts Widget