ভারত
এর আগে কখনোই মেয়েদের বিশ্বকাপ জেতেনি। ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে
ফাইনালে উঠেও শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৮ রানের পরাজয় বরণ করতে হয়
দলটিকে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের মেয়েরা তিনবার জিতেছে বিশ্বকাপ। খেলেছে ছয়টি
ফাইনাল।
বিশ্বকাপের
ফাইনালে আজ লর্ডসে মুখোমুখি হবে এই দুই দল— স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও
উপমহাদেশের দল ভারত। কাগজে-কলমে এগিয়ে ইংলিশরাই। নিজেদের চতুর্থ বিশ্বকাপ
শিরোপা জয়ে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ইংলিশরা। তবে সেমিফাইনালে শক্তিশালী
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করায় আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা
ভারতের বিপক্ষে তাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
মিডল
অর্ডার ব্যাটসম্যান হারমানপ্রিত কাউরের অপরাজিত ১৭১ রানের পর বোলারদের
সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের সুবাদে সেমিফাইনালে ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে
৩৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারত।
অপর
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে হেথার
রাইটের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে অবশ্য জয়ের পাল্লাটা
ইংলিশদের দিকেই ভারী। এ বিশ্ব ইভেন্টে এ পর্যন্ত ছয়বার মোকাবিলা করে ভারতকে
চার বার হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
তবে
অত্যন্ত চাপের মধ্যেও ভারতীয় দলের ফল বের করে আনার সক্ষমতাটা অন্তত
ইংলিশদের জানা আছে। কেননা এই ভারতের কাছে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৩৫
রানে হেরেছে স্বাগতিকরা। এ পরাজয়ের পর টানা সাত ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে
ইংল্যান্ড।
নাইট
এবং ওপেনার ট্যামি বিউমন্ট টপ অর্ডারে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।
টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত দুজনে মিলে মোট ৭৫০ রান করেছেন। চার নম্বরে খেলা
আরেক ব্যাটসম্যান নাটালি শিভার একমাত্র খেলোয়াড় যিনি রেকর্ড দুটি সেঞ্চুরি
করেছেন।
পক্ষান্তরে
মিথালী রাজের নেতৃত্বাধীন ভারত প্রথম বার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে এবং
তাদের রয়েছে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। তবে টুর্নামেন্টে দলটির একমাত্র
দুশ্চিন্তা স্পিন বোলিং।
মিডল
ওভারে ভারতীয় সাফল্যে মূল ভূমিকা রাখছেন অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা। নিজের
প্রথম বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত তিনি শিকার করেছেন ১২ উইকেট।
শর্মাকে
যথাযথ সহায়তা দেবেন লেগ স্পিনার পুনম যাদব এবং বাঁ-হাতি স্পিনার একতা
বিশট। টুর্নামেন্টের শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে যিনি ৫ উইকেট শিকার
করেছেন।
বিশ্বকাপ
খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কেবলমাত্র রাজ ও অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার ঝুলন গোস্বামী
রয়েছেন ভারতীয় দলে। সর্বশেষ ২০০৫ সেমিফাইনালে জয়ের পর ফাইনালকে রাজ বলেন,
‘মনে হচ্ছে আমরা যেন ২০০৫ আসরে ফিরে যাচ্ছি এবং আমি অত্যন্ত খুশি যে, দলের
মেয়েরা পুনরায় আমাদের বিশ্বকাপ ফাইনালের অংশ হতে একটি সুযোগ করে দিয়েছে।’
ফাইনাল
জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে ভারত। মিতালি বলেন, ‘ফাইনালে ওঠার পথে পুরো
টুর্নামেন্টই তারা সবাই খুব ভাল খেলেছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলাটা একটা
চ্যালেঞ্জ। তবে বলতেই হচ্ছে বর্তমান দলটি এ জন্য প্রস্তুত।’বাসস/ইএসপিএন
ক্রিকইনফো
No comments:
Post a Comment