আগেই
রাশিয়ার টিকিট নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল তবুও চিলির বিপক্ষে ম্যাচটার
গুরুত্ব কোন অংশেই কম ছিল না। দলের সবাইও তাই অনুশীলনে মনযোগী। কিন্তু
অনুশীলন চলাকালীন হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যান নেইমার। কোথায় গেলেন নেইমার? জানা
গেল, বিরল রোগে আক্রান্ত অসুস্থ এক শিশু ফুটবল ভক্তকে সময় দিতে অনুশীলনের
মাঝেই মাঠ ছাড়েন নেইমার।
আট
বছর বয়সী আনা ক্লারা বিরল এক বংশগত রোগে আক্রান্ত। রোগটির নাম
হাচিনসন-গিলফোর্ড প্রোগেরিয়া সিনড্রোম। এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে, শৈশবেই বুড়িয়ে
যাওয়া, চুল পড়া, চামড়া কুচকে যাওয়া। পৃথিবীতে প্রায় দুই কোটি লোকের মধ্যে
মাত্র একজন পাওয়া যাবে যে এ রোগে আক্রান্ত। এমনই এক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে
ক্লারা ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছেন। দিন গুনছেন মৃত্যুর।
তবে
এমন অসুস্থতার মাঝেও ক্লারার সঙ্গী ফুটবল। টিভিতে খেলা হলে তাকে আটকে
রাখার সাধ্য কারোরই নেই। এই ফুটবলে ক্লারার স্বপ্নের পুরুষ নেইমার। ক্লারার
খব শখ ছিল, নেইমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বিরল রোগে আক্রান্ত আনা ক্লারার
এমন আকাঙ্ক্ষার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবেই। জাতীয়
দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অংশ নিতে ব্রাজিল এসে ক্লারার সেই আকাঙ্খার কথা
জানতে পারেন নেইমারও।
মহানুভবতার
পরিচয় দিয়ে অনুশীলনের ফাঁকেই ক্লারাকে দেখতে চলে যান নেইমার। একসঙ্গে
দু’জনে অনেকটা সময় কাটান। এ সময় নেইমার আনা ক্লারাকে জড়িয়ে ধরেন। পাশে বসে
ছবি তোলেন। এরপর দুজনে একটি ব্যানার হাতেও ছবি তোলেন। ব্যানারটিতে লেখা ছিল
- ‘স্বপ্ন দেখো যত বড় সম্ভব পারো, সবসময় চেষ্টা করে যাও, কখনো আশা ছেড়ো
না।’ পরবর্তীতে নেইমার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ছবিগুলো পোস্ট করেন।
মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিগুলো।
এখানেই
শেষ নয়। চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ দেখতে সাও পাওলোতেও
হাজির হন আনা ক্লারা। মাঠে নামার আগে ড্রেসিংরুমেই ক্লারার সঙ্গে দেখা করেন
নেইমার। পরবর্তীতে তাকে সঙ্গে নিয়েই মাঠে নামেন ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে দামি
এই তারকা। মিরর।
No comments:
Post a Comment