দক্ষিণ
আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ টেস্ট বা ওয়ানডে কোনো ফরম্যাটেই বাংলাদেশ
প্রতিদ্বন্দ্বীতা পর্যন্ত গড়তে পারেনি। ঘরের মাটিতে কয়েকটি সিরিজে
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখায় টাইগাররা। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে
উপমহাদেশের বাইরে নিজেদের প্রমাণের সফর হিসেবে নিয়েছিল। কিন্তু এখানে উল্টো
মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের পর
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এই অবস্তাকে ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের
জন্য বিদপসংকেত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
মাশরাফি
বলেছেন, ‘ওদের সঙ্গে তুলনা করলে সব জায়গায় আমরা পিছিয়ে ছিলাম। কোনো
প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারিনি। খুব বাজেভাবে ম্যাচগুলো হেরেছি। এটা আমাদের
খুবই শিক্ষণীয় হলো। যদিও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে এটা হয়ে আসছে। এ বিষয়গুলো
ঠিক না করলে সামনের সিরিজ-টুর্নামেন্টে ভালো করা কঠিন হয়ে যাবে। আমার কাছে
মনে হয়, এই যে সময়টা গেল, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অবশ্যই বিপদসংকেত।’
প্রথম
ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের হার, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারটা ছিল ১০৪ রানে তৃতীয়
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ২০০ রানে হেরে গেছে মাশরাফির দল। এর আগে টেস্ট
সিরিজেও বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হেরেছে। এ অবস্থা থেকে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে
হবে বলেও মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাটিং ও বোলিংয়ে
সেভাবে আত্মবিশ্বাসের খোঁজটা পাচ্ছি না। বিশেষ করে মনে হয় কন্ডিশনটায় খাপ
খাওয়াতে পারিনি এখনও। সামনের সিরিজগুলোতে আমাদের বিষয়গুলো দ্রুতই শুধরে
নিতে হবে। নাহলে ভবিষ্যতের অবস্থা শোচনীয় হবে।’
বাংলাদেশের
সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতা ছিল বোলিংয়ে। সেই অর্থে বোলাররা দলের পক্ষে কোনো
অবদানই রাখতে পারেননি। একজন বোলার হিসেবে মাশরাফি এটাকে বর্ণনা করছেন
দুর্ভাগ্য হিসেবে। তিনি বলেন, ‘সফরটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। আমার আরও
আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল। এছাড়া দুর্ভাগ্যও বলতে হবে। আশা করছি এসব অভিজ্ঞতা
ভবিষ্যতে আমার কাজে লাগবে।’
No comments:
Post a Comment