বাংলাদেশের
শততম টেস্টে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরপর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষে স্কোয়াডেই ছিলেন না। সেই মাহমুদউল্লাহ দলে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকায়
প্রথম টেস্টে সেরা পারফরমারদের একজন হলেন। তবে এই পারফরম্যান্সে স্বস্তি
নেই। কারণ, দল যে বাজেভাবে হেরেছে। গতকাল মঙ্গলবার পচেফস্ট্রমে বসে রিয়াদ
বলছিলেন, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা। প্রথম
টেস্টের পারফরম্যান্স ও দ্বিতীয় টেস্টের আশা নিয়ে কথা বলেছেন এই
অলরাউন্ডার—
প্রশ্ন-পচেফস্ট্রমে এমন পারফরম্যান্স কিভাবে দেখছেন?
আমরা
খুবই হতাশ। উইকেট খুব ভালো ছিল। কিন্তু আমরা যেরকম চেয়েছি, সেরকম ব্যাটিং
করতে পারিনি। অনেক বাজে ভুল করেছি। তবে আমি নিশ্চিত যে, পরের টেস্টে উইকেট
যেমনই হোক আমরা এর চেয়ে ভালো ব্যাটিং করবো। আমি নিশ্চিত, আমরা ভালোভাবে
ফিরে আসবো।
প্রশ্ন-দ্বিতীয় ইনিংসে কী বৃষ্টির দিকে চেয়ে ছিল বাংলাদেশ?
আমরা
ম্যাচ বাঁচানো নিয়েই ভাবছিলাম। আমরা আসলেই বৃষ্টি নিয়ে ভাবিনি। আমাদের
লক্ষ্য ছিল ম্যাচটা ড্র করে আসা। কিন্তু প্রথম সেশনটাই পার করতে পারিনি।
আমরা খুব বাজে করেছি।
প্রশ্ন-অনেকের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ কী একটু টেস্টসুলভ ছিল না বলে মনে হলো?
আসলে
সবার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ থাকে। কেউ ভাবে, শুরুতে কয়েকটা শট
খেলে সেট হওয়া যাবে। কেউ ডিফেন্সিভ শট খেলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে চায়।
দিনশেষে মূল কথা হলো, কাজটা কে ভালো পারলো। আমরা সেই কাজটাই বাজেভাবে
করেছি।
প্রশ্ন-এসব বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ হয়েছে?
ম্যাচশেষে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। টিম মিটিংয়ে এই সবকিছু নিয়েই কথা হয়েছে।
প্রশ্ন-এখান থেকে বেরিয়ে এসে ভালো করা কতোটা কঠিন?
বিশ্বাসটা
ভেতর থেকে আসতে হয়। এই আত্মবিশ্বাসটাই আসল। আমরা যদি প্রথম ইনিংসে
শুরুগুলো কাজে লাগাতে পারতাম, সবকিছু অন্যরকম হতে পারতো। এখন আর এসব নিয়ে
কথা বলে লাভ নেই। আমাদেরকে ব্লুমফন্টেইন টেস্টে ভালোভাবে ফিরে আসতে হবে,
এটাই আসল কথা।
প্রশ্ন-অনেকে বেশি শট খেলে ফেলেছেন?
শট
খেলাটা অন্যায় না। একজন ব্যাটসম্যান বাজে বল পেলে কেনো মারবে না। তাকে
অবশ্যই নিজের খেলাটা খেলতে হবে। কন্ডিশন মাথায় রাখতে হবে। তবে এখানে
কন্ডিশন তো ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিল। আমরা নিজেদের স্কিল অনুযায়ী
খেলতে পারিনি। আমরা খুব বাজে করেছি।
প্রশ্ন- আমরা কি সিঙ্গেল-ডাবলস কম বের করতে পারছি?
এটা আসলেই বড় একটা ব্যাপার। টেস্টে ক্রিকেটে স্ট্রাইক রোটেট করাটা জরুরি। এটা বোলারকে হতাশ করে।
প্রশ্ন-ব্লুমফন্টেইনে কেমন উইকেট আশা করছেন?
আমরা এরকম উইকেট আশা করছি না। এটা আমাদের জন্য বিস্ময়কর ছিল।
প্রশ্ন-আমাদের বোলিংটা কী হতাশাজনক ছিল?
রাবাদা
আর মরকেল খুব অভিজ্ঞ বোলার। ওরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। আমাদের ফাস্ট বোলাররা
সে তুলনায় খুব কম টেস্ট খেলেছে। অভিজ্ঞতা তো একটা ব্যাপার। তারপরও আমি মনে
করি, আমাদের পেসার ও স্পিনারদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। আমার মনে হয়,
আমাদের সব বিভাগেই ভালো করার দরকার আছে।
No comments:
Post a Comment