দক্ষিণ
আফ্রিকায় বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণের ম্যাচটি দেশে বসেই দেখেছেন বাংলাদেশের
ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা| এ নিয়ে অনেকেই দলের ক্রিকেটারদের
সমালোচনায় মুখর। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, এতো সমালোচনা করার কোনো
কারণ নেই। টেস্ট খেলোয়াড়রা চেষ্টা করেছেন। একটা টেস্টে পারফরম্যান্স খারাপ
করার পর তাদের বরং সমর্থন প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ ফাস্ট বোলার।
প্রথম
টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াটা নিয়েই বেশি সমালোচনা
হচ্ছে। মাশরাফি বলছেন, এটা স্রেফ একটা বাজে দিন ছিল। পুরো টেস্ট বিশ্লেষণ
করতে গিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে একটা বাজে দিন
গেছে। আপনি গেলে বুঝবেন দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই কন্ডিশনে আমাদের জন্য কতটা কঠিন
হয়। উইকেট যেটা আমরা যা আশা করেছিলাম তার থেকে ভালো ছিল, এটা সত্যি কথা।
তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন ওরা বোলিং করে ওদের যে ক্ষমতা, সেই অনুযায়ী
আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাজ এতোটা সহজ না। আর দ্বিতীয় ইনিংসে কাল যেটা হয়েছে
ক্রিকেটে মাঝে মাঝে এমন দিন আসে হুট করে, এমন হয়ে যায়। এটা অবশ্যই
হতাশাজনক।’
মাশরাফি
মানছেন যে, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বোলিংটা একটা দুশ্চিন্তার ব্যাপার।
তবে অভিজ্ঞতা ও ভালো উইকেটে বোলিং করতে থাকাই এর সমাধান বলে মনে করেন তিনি,
‘টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং সবসময়ই আমাদের জন্য দুশ্চিন্তা ছিলই। টেস্ট
ক্রিকেটে লম্বা সময় বল করতে হবে পাশাপাশি ব্রেক থ্রু দিতে হবে। সাম্প্রতিক
সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় বলেন কিংবা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় বলেন
সেখানে স্পিনাররাই নিয়ন্ত্রণ করেছে। টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং আসলে রাতারাতি
বদলে দেওয়া সম্ভব না। এতো সহজ না টেস্ট ক্রিকেট। তারপরও এরা একবারেই
অনভিজ্ঞ, এরা যদি আরো বেশি খেলার সুযোগ পায়, অভিজ্ঞ হলে আমার বিশ্বাস এরা
ভালো করবে।’
এ
অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক মনে করছেন, ভুল এ টেস্টে হয়েছে। তাই বলে সেই ভুল
নিয়েই শুধু কথা বলার কারণ দেখেন না তিনি, ‘হ্যাঁ; এটা ঠিক কিছু না কিছু ভুল
না করলে এ ইনিংস এমনভাবে ভেঙে পড়তো না। কিন্তু আমরা যদি ঘরে বসে এটুকু
এনালাইসিস না করতে পারি দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন কি! অস্ট্রেলিয়া দল
বাংলাদেশে এসে তিনদিনে হেরে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন কি। এটা যদি
না বুঝতে না পারি তা হলে আমার মনে হয় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না।’
ইত্তেফাক
No comments:
Post a Comment